বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তে বলি হল প্রায় ১৬৮ জন ছাত্র। তা কার্যত বলায় যায়। বাংলাদেশের তরফে একটি বিসিএসের তরফ থেকে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রথম লিস্টে যাদের নাম রয়েছে, সেখানে হিন্দু ছাত্রদের বেছে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই আরও একবার স্পষ্ট, ইউনূস পাকিস্তানের হাতে দেশটিকে সমর্পণ করেছেন।
হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এখনও জেলে বন্দি রয়েছেন। তাকে কোনওভাবেই জামিন দেওয়া যাচ্ছে না। তারপর থেকে গোটা দেশে আলোড়ণ সৃষ্টি হয়। সনাতনীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করে। পাশাপাশি সে দেশের ঘটনায় প্রতিবাদ এই বাংলাতেও শুরু হয়। আর সেই ঘটনার পর অন্যান্য দেশগুলির কাছেও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মুহম্মুদ ইউনূসের আসল রূপ।
আসলে এই মুহম্মুদ ইউনূস ক্ষমতায় এসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার করে। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে হঠিয়ে মুহম্মুদ ইউনূসকে বাংলাদেশের সিংহাসনে বসায়। যারা কোটার জন্য আন্দোলন করল,সেখান থেকে কিছু নেতা চেয়ারে বসে অন্যান্য যে ছাত্ররা লড়ল, তাদের হিন্দু বলে বাদ দিয়ে দিচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বহু হিন্দু ছাত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে নিজেদের দুঃখের কথা প্রকাশ করেছেন। কেউ লিখেছেন, ১৫ই অক্টোবরে প্রকাশিত ৪৩তম বিসিএস গেজেটে নাম ছিল। কিন্তু আজ প্রকাশিত গেজেটে আমার নাম নেই। বাদ দেওয়া হল। কেউ লিখেছেন, শুধুমাত্র গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ার কারণে ৪৩তম বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ দেওয়া হল। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জকে বলা হয়, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। যেখানে হিন্দুরা থাকে। বিসিএসে প্রায় ২৬৭ জনকে বাদ দেওযা হয়েছে। তারমধ্যে হিন্দু পড়ুয়ার সংখ্যা ১৬৮ জন। এখন প্রশ্ন উঠছে, তবে হিন্দু হওয়া অপরাধ এই পড়ুয়াদের? যে কারণের সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বেছে বেছে বাদ দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও অস্থির। সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার অত্যাচার চালানো হচ্ছে, তা এখনও বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে উঠে আসছে। পাশাপাশি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর জামিন না মঞ্জুর হয়ে গেল। তারপরও প্রতিবাদ অব্যাহত হয়ে রয়েছে সে দেশে। সেই প্রতিবাদের আঁচ আমাদের রাজ্যে এসে পড়েছে। রাজপথে লাগাতার আন্দোলন চলছে। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। সে দেশের সঙ্গে নানা বিষয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি, পদ্মাপাড়ের দেশ থেকে ধেয়ে আসছে নানা মন্তব্য। এমনকি প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে ভারতকে। সেভেন সিস্টার্স দখলের হুমকি। পাশাপাশই কলকাতা দখলের হুমকি। যদিও তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই ভারতের। কারণ সামরিক দিক থেকে ভারত বাংলাদেশের তুলনায় বহুগুনে শক্তিশালী। যদিও অনুপ্রবেশ রুখতে এবং দেশের অব্যান্তরে শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। বাড়ানো হয়েছে বিএসএফের টহলদারি। এমনকি, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের গতিবিধির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে যে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে যে লাগাম টানতে পারছে না সরকার। তা বলাই যায়। অনেকে বলছেন, দেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এলেই দেশে শান্তি ফিরবে। এখন দেখার, সেই নির্বাচন কবে হয়!
Discussion about this post