ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার থেকে ছয়দিনের মার্কিন সফরে রওনা দিয়েছেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর এটাই প্রথম ভারত থেকে উচ্চ পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। আর সেই বৈঠকই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউনুস প্রশাসনের।
মোহাম্মদ ইউনুসের হাত ধরে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক যখন তলানিতে তখন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে পর্যালোচনার জন্য মার্কিন সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর । মার্কিন সফরে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান ও সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে এই বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্পের জয়ের পরে এই প্রথম ভারত থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের কোনও প্রতিনিধিদল আমেরিকার পরবর্তী সরকারি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার থেকে ৬দিনের আমেরিকা সফরে এস জয়শঙ্করের। দ্বিতীয় বারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ট্রাম্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করবেন বলে আন্দাজ ওয়াকিবহাল মহলের।
ভারতের বিদেশমন্ত্রি তিনি এই সফর সম্মন্ধে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, মার্কিন এনএসএ জেক সুলিভানের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে সাক্ষাৎ হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে। আঞ্চলিক ও বিশ্বের উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে কথা হয়েছে।
জয়শঙ্কর নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সানফ্রান্সিসকো, সিয়াটেল, হাউস্টন, আটলান্টার ভারতীয় কনসাল জেনারেলদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আলোচনা করেছেন।
তিনি প্রত্যেক ব্যক্তিত্তের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তিনি পোস্ট করে সংক্ষিপ্ত ধারণা দিয়েছেন।
তেমনই ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মিটিং নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, চার বছরে ভারত মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ একটি আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা হবে এনিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞও বিদেশ মন্ত্রী। যা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও মঙ্গল বার্তা বহন করে আনবে।
এছাড়া ভারতের কনসাল জেনারেলদের সঙ্গেও মিটিং খুব পুংখ্যানুপুংখ্য হয়েছে বলেই দাবি জয় শঙ্করের। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল তিনি তাঁর কাউন্টারপার্টদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মোদীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সমীকরণ ছিল সুমধুর। চলতি বছর নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পরেই অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিতের মতো নরেন্দ্র মোদিও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন । গত চার বছর ধরে জো বাইডেনের জমানায় আমেরিকান কংগ্রেসের মানবাধিকার সংক্রান্ত রিপোর্টে তুলোধোনা করা হয়েছে সংখ্যালঘু নিপীড়ন, জাতিবৈষম্য, মণিপুরের হিংসার মতো ঘটনাকে। প্রতি মাসে হোয়াইট হাউসে বাইডেন সরকারের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে।
Discussion about this post