মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে আক্রান্ত হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন হিংসার শিকার হয়েছেন। কয়েক দিন আগে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এই দাবি করেছে নাগরিক সংগঠন ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গণ অভ্যুত্থানের জেরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে বাংলাদেশে মুখ্য উপদেষ্টা ইউনূসের নেতৃত্বে ও সেনাবাহিনীর সমর্থনে অন্তর্বর্তী সরকার শাসন করছে। সেই সরকারের প্রথম ১০০ দিনে বেশি আক্রান্ত ধর্মীয়, প্রান্তিক সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘু জাতির লোকজন। খুন হন অন্তত ৯ জন। মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্য আগে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগকে বেশি গুরুত্ব দেননি। বার্লিন ভিত্তিক নাগরিক সমাজ সংস্থার বাংলাদেশ শাখা ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ বা ‘টিআইবি’-এর সেই রিপোর্ট অনুসারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ আগস্ট পালাতে বাধ্য করার পর, যারা যারা সেই আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছিলেন তাঁরা সকলেই কমবেশি হিংসার স্বীকার হয়েছেন।‘আইন শৃঙ্খলা’ কলমের অধীন সেই রিপোর্টে ‘আইক্য পরিষদ’-এর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে জানানো হয়েছে যে ৫-২০ অগস্টের মধ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২,০১০টি। সেই সব ঘটনায় মাত্র ১৬ দিনে নয় জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আইন পরিষদ হল বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের একটি মানবাধিকার সংগঠন। ইতিমধ্যেই, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হিন্দুদের উপরে নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক পোস্টের কারণেই এই অশান্তির সৃষ্টি। হিন্দুদের উপরে এই হামলার ঘটনায় চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত করা যায়, সেই বিষয়েও আর্জি জানানো হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে ‘চোখে চোখ রেখে’ কথা বলবেন তাঁরা। বাংলাদেশ আর ভারতের ‘তাঁবেদারি’ করবে না বলেও জানিয়েছেন ইউনুস।
Discussion about this post