একজন মহিলা হিসেবে রাজ্যপালের পাশে বসে কথা বলতেও তাঁর রুচিতে বাঁধবে৷ শনিবার হুগলির নির্বাচনী সভা থেকে এমনই মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শনিবার হুগলির সপ্তগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা থেকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। রাজভবনে অস্থায়ী মহিলা কর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আক্রমণ শানান তৃণমূল সুপ্রিমো ৷
মমতার কথায়, “প্রয়োজনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলব ৷” পাশাপাশি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সিসিটিভ ফুটেজ এডিট করার অভিযোগও তুলেছেন মমতা ৷ পেন ড্রাইভের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ‘‘ভয় পাবেন না, কপিটা আমার কাছে আছে। আমি রেখেছি। যেটা এডিট করেছেন সেটাও আমার কাছে আছে। এখনও তো সব বেরোয়নি। আর একটা পেন ড্রাইভ আমি পেলাম।’’ সম্প্রতি রাজ্যপালের মুখে শোনা গিয়েছিল রাজভবনে দিদিগিরি সহ্য করবেন না তিনি। এ প্রসঙ্গে আজ তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘মাননীয় রাজ্যপাল, আমার কী দোষ আপনি বলুন? আমি তো জানিই না ঘটনা পুরো। আমাকে বলছেন, দিদিগিরি চলবে না। আপনি ইস্তফাটা কবে দেবেন?’’ এরপরই সন্দেশখালিতে ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘ওখানে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। একটা মেয়ের আত্মসম্মান চলে গেলে আর ফিরে আসে না।
সে জানেও না, তাকে দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা আগেকার দিনে হত। বেচারা জানতেই পারত না।’’ সপ্তগ্রামের সভায় মমতা আরো বলেন, ‘‘রচনা ভোটে দাঁড়াতে চাইছিল না। আমাকে বলেছিল, দিদি আমি কোনও দিন রাজনীতি করিনি। আমি ওকে বলি, আমরা কেউই বুঝতাম না। মানুষের কাজ করাই হল আসল কথা। আর এখানে দাঁড়ালে তোমার সুবিধাই হবে। দিদি নম্বর ওয়ানে আরও অনেক কিছু করতে পারবে। রচনাকে রাজি যখন করালাম, আপনারা কি ওকে ভোটটা দেবেন না?’’ প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।
Discussion about this post