বৃহস্পতিবার নবান্নে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সমস্ত ব্যবস্থাপনা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের একটিই দাবি মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। সেটি হল বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার। শেষ পর্যন্ত বৈঠক আর হয়নি। আন্দোলনরত ডাক্তাররা ফিরে আসেন স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্ণামঞ্চে। অপরদিকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি দাবি করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে রাজ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন এখনও পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন ২৯ জন। আর রাজ্য সরকার তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তার ফলে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করছে। ২৯ জন মৃতের পরিবারকে ওই টাকা দেওয়া হবে’। প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় রাজ্য উত্তাল। রাজ্যজুড়েই পড়ুয়া চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন নির্যাতিতার বিচার এবং নিজেদের নিরাপত্তার আশ্বাস চেয়ে। এই কর্মবিরতি চলছে একমাসের বেশি সময় ধরে। এর আগেই রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছিল জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বেশ কয়েকজনের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে। এই দাবি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলেন আন্দোলনরত পড়ুয়া চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি ছিল, গোটা রাজ্যে মাত্র সাড়ে সাত হাজার পড়ুয়া চিকিৎসক রয়েছে। ফলে কিভাবে এত মৃত্যুর জন্য তাঁরা দায়ী? এবার তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করল রাজ্য। বিরোধীদের বক্তব্য, এই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে রাজ্য বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক মান্যতা দিতে চাইছে।
Discussion about this post