বাংলার পরিচিতি নষ্ট হয়ে যাবে। বাংলা ভাষায় কথা বলার লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফুটপাথ দখল থেকে সরকারি জমি দখল নিয়ে, পুলিশ-প্রশাসন এবং নেতা ও কাউন্সিলরদের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী . তাঁর এই আশঙ্কার পরই খবরের শিরোনামে ঝাড়গ্রাম জেলা। আদিবাসী, কুড়মি মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে পশ্চিমাঞ্চলের চরিত্রই বদল করে ফেলা দিচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকার জঙ্গল, নালা, সেচ ক্যানেল দখল করে জমির চরিত্র বদলেরও অভিযোগ সামনে আসছে। কুড়মি, আদিবাসী, সাধারণ গরিব চাষিদের জমিতে কারখানার ছাই ফেলে জমি কে বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে।
এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ, জঙ্গলের জমিও জোর করে দখল করে রাতারাতি গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। ভূমিদপ্তরের একাংশের আধিকারিকদের দিয়ে জমির চরিত্র বদল করে তারও জাল দলিল তৈরি করা হচ্ছে । প্রকাশ্যে ইরিগেশন এর ক্যানেল বুজিয়ে তা দখল করে নেওয়া হয়েছে। উদ্দ্যেশ, যাতে চাষের জমিতে জল না যায়। এরপরেই ছলে, বলে, কৌশলে কিছু জমি দালালকে কাজে লাগিয়ে কম টাকায় সেই জমি হস্তান্তরের জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। জমি হস্তান্তর হয়ে যাচ্ছে বেআইনি কারখানার মালিকের কাছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশীষ মাহাতো বলেন, যেভাবে সন্দেশখালিতে চাষীদের জমিতে নোনাজল ঢুকিয়ে রাতারাতি জমির চরিত্র বদল করা হত, একই ঘটনা গড় শালবনিতেও ঘটছে। প্রাক্তন বন কর্তা সুমিত মজুমদার এ বিষয় বলেন, সরকারি কর্মী- আমলাদের এই কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন. তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলছেন প্রাক্তন বনকর্তা। উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রাম যে কুড়মি আন্দোলনে বারবার উত্তাল হচ্ছে তার অন্যতম কারন এই জমি। অভিযোগ, তাদের জমি জোর করে ছলে বলে কৌশলে দখল করে নিচ্ছে বহিরাগত ভিনরাজ্যের ব্যাবসায়ীরা। তা আটকাতেই এবার আন্দোলনমুখী কুড়মি আদিবাসী জনজাতি।
Discussion about this post