ইতিমধ্যেই আরজিকর কাণ্ডে সিবিআই এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল, আর অন্য দিকে ঘটনার দিন বারংবার তিলোত্তমার নাম প্রকাশ্যে বলেছেন প্রাক্তন কলকাতা পুলিশের নগরপাল। আর সংবিধান অনুযায়ী কেও যদি ধর্ষিতা অথবা যৌন হেনস্থার শিকার, কারোর নাম প্রকাশ্যে আনে, তাহলে তার দু বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
আর জি কর কাণ্ডে ইতি মধ্যেই শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আর জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি অনুযায়ী কলকাতার নগর পাল পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিনীত গোয়েলকে। কমিশনার পদ থেকে সরানোর পর এবার উটকো ঝামেলা এসে জুড়েছে। অভিযোগ, বিনীত গোয়েল ৯ই আগস্ট বহুবার নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্য করেছেন। এই ঘটনাকে সামনে রেখে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। যেহেতু এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে, সেই কারণে হাইকোর্ট মামলা খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসে এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট এই মামলা পুনরায় গ্রহণ করে। সূত্রের খবর আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হতে পারে হাইকোর্টে। এবং হাইকোর্ট মামলাকারী আইনজীবীকে নির্দেশ দেয় সরকারের আইনজীবীকে নোটিশ পাঠানোর। যদি কোন ভাবে এই অভিযোগের সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে কিন্তু প্রাক্তন নগরপাল দু-বছরের জেল যাত্রার করতে পারে।
রাজনীতিক ময়দানে প্রাক্তন নগরপাল কে নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। যার মধ্যে তথ্য লোপাট এর অভিযোগে তাকে কটাক্ষ করেছে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে শুধু অপেক্ষা, প্রাক্তন নগর পালের উপর যে অভিযোগ, তার কোন প্রমাণ উঠে আসে কিনা। প্রশ্ন এখন বিনীত গোয়েল চাকরিতে বহাল থাকবেন, নাকি দু-বছরের যাত্রা?
Discussion about this post