গত শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে আমরণ অনশন শুরু করেছেন সাতজন জুনিয়র ডাক্তার। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই অনশনের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে ১১৩ ঘণ্টা। কিন্তু এখনও অনড় দুই পক্ষ, বের হয়নি কোনও সমাধান সূত্র। এরমধ্যেই খবর পাওয়া যাচ্ছে, অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করেছে। আন্দলনকারী চিকিৎসকরাই জানাচ্ছেন অনিকেতকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন। তাঁকে আইসিইউ-তে রেখে পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। তবে এও জানা যাচ্ছে, বাকি অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থাও করুণ। তবে অনিকেতের পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। অনিকেতের ইউরিনে কিটোন বডি পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে রোগীর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ধীরে ধীরে বিকল হতে পারে। এরমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফে নতুন ফরমান জারি করা হল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে পুলিশ যায় অনশন মঞ্চে। তাঁরা আন্দলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের হাতে একটা চিঠি ধরিয়ে যায় বলে খবর। তাতে লেখা রয়েছে, জোর করে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মঞ্চ বাঁধা হয়েছে। তবে ওই চিঠিতে অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধও জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনারা গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন। জোর করে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মঞ্চ বানিয়েছেন। আপনাদের সামনে যে বোর্ড রাখা হয়েছে, তা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, আপনাদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বুধবার আমরা আপনাদের অনুরোধ করেছিলাম, কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সের সাহায্য নিতে। কিন্তু আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে অনুরোধ করেছি, আপনাদের জন্য এক দল চিকিৎসক মোতায়েন করা হোক। আমাদের অনুরোধ, আপনারা এই জায়গা ছাড়ুন এবং চিকিৎসার সাহায্য গ্রহণ করুন। সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। এই চিঠি পাওয়ার পর জুনিয়র চিকিৎসকদের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া, আমাদের উঠে যেতে হবে। জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হচ্ছে। এটা আমরা ভাল ভাবে দেখছি না। ওদের কোনও উদ্বেগ নেই। তবে আপাতত পুলিশের দেওয়া চিঠির থেকেও তাঁদের বড় চিন্তা চিকিৎসক অনিকেত মাহাতর শারীরিক অবস্থা নিয়ে। সূত্র্রের খবর, তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন, যাতে কোনও হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁকে রেখে পর্যবেক্ষণে রাখা যায়।
Discussion about this post