বালিগঞ্জের দামিনী লেনে ফিরল শুভজিৎ মালির নিথর দেহ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার বলি শুভজিৎ। মৃতের বাড়িতে এলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মেয়ের জন্মদিন, তাই তড়িঘড়ি বাড়িতে ফিরতে চেয়েছিলেন শুভজিৎ মালি। গাড়ি ডেলিভারি করার কাজ করতেন তিনি। মেয়ের আবদার রাখতে তৎকালে টিকিট কেটে উঠে পড়েছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। তার পরের ঘটনা সকলেরই জানা। মালগাড়ির ধাক্কায় বেলাইন হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার চার-চারটি কামরা। প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। সেই তালিকায় রয়েছে শুভজিৎ মালির নামও। কেই বা জানতো এই ফেরাই তাঁর শেষ ফেরা হবে। মৃতের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে গিয়ে রেলের পরিকাঠামো নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। মনে করালেন ঠিক এক বছর আগে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কথাও।
কলকাতার বালিগঞ্জের দামিনী লেনের বাসিন্দা শুভজিৎ। এদিন ঘরে ফিরল শুভজিৎ মালির নিথর শরীর। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই সন্তানের বাবা। মেয়ের জন্মদিন পালনের আগেই মেয়ের বাবার মর্মান্তিক পরিণতি। শুক্রবার শিলিগুড়িতে গিয়েছিলেন কাজের সূত্রেই। কয়েকদিন পরে ফেরার কথা থাকলেও সোমবারই রওনা দেন মেয়ের আবদার মেটাতে। রেলের লক্ষাধিক পদ শূণ্য রয়েছে। পূরণ হচ্ছে না কেন। মন্ত্রীর গলায় উঠে এল প্রশ্ন। মায়ের বুক ফাটা কান্না, ছোট্ট মেয়েটার কাতর চাউনি। একরত্তি মেয়েটি হয়তো বুঝতে পারছে তাঁর বাবা আর নেই। আর কোন দিন সে ফিরবে না ঘরে। জন্মদিন আর পালন হবে না আগের মত। জন্মদিনের আগে এই দিনটাই পড়বে বার বার মনে। আনন্দের বদলে বিষাদময় হয়ে উঠবে মন। এখনও জীবনে অনেক পথ চলা বাকি। তার আগেই ছোট্ট মেয়েটার হাত ছেড়ে অনন্ত শূণ্যে মিশে গেলেন তাঁর বাবা শুভজিৎ মালি।
Discussion about this post