আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে পথে নামল বঙ্গ বিজেপি। স্বাস্থ্য ভবনের উদ্দেশ্যে মিছিল করে যাচ্ছিলেন গেরুয়া কর্মী সমর্থকেরা। উল্টোডাঙার হাডকো মোড় থেকে মিছিল যায় সল্টলেকে। নেতৃত্বে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরই মধ্যে বিজেপির সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোলে আটক দলেরই বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্যদের আটক করে গাড়িতে তোলে পুলিশ।
‘লড়াই করার জন্য আমরা রাস্তায় বেরোইনি’, দাবি দিলীপ ঘোষের। পুলিশের গাড়ির মাথায় উঠে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের। আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। এদিন হাডকো মোড় থেকে বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, ইন্দ্রনীল খাঁ, অগ্নিমিত্রা পালরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবন চত্ত্বর। পুলিশের সঙ্গে বিজেপির নেতা কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। এদিন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপির কর্মীরা এগিয়ে যেতে চাইলে সেখানেই আটকে দেয় পুলিশ। এরপরেই শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ পাঁচজন মিলে একটা প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য ভবনে দেখা করতে চেয়েছিলাম। দিল না। টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলল। ঠিক আছে। লড়াই চলবে।’’ যে প্রিজন ভ্যানে শুভেন্দুকে তোলা হয়েছে সেই প্রিজন ভ্যান ঘিরে রাখে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।
Discussion about this post