এক তরুণী চিকিৎসকের নির্মম মৃত্যু। তাঁকে ঘিরে একটু একটু করে বাড়ছে ক্ষোভের আঁচ । আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে শহরের আনাচে-কানাচে। আর জি কর এই আন্দোলনের উদ্বোধক হলেও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে শহর ও জেলার অনান্য সরকারি হাসপাতালে। তবে এই আন্দোলনের শেষ ঠিকানা কোথায় আপাতত নির্ধারণ করা বড়ই মুশকিল। আদতে এই আন্দোলনে কোন রাজনীতির রঙ না থাকলেও সাধারণ মানুষের মতো রাজনৈতিক নেতারা প্রতিবাদে সামিল হতে চাইছেন। রাতে শহর কলকাতায় মেয়েরা আদৌ নিরাপদ কি? এই দিকটিকে নিশানা করে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি অনুযায়ী ১৪ ই অগাস্ট মধ্যরাতে শহর থেকে জেলা নির্ধারিত স্থানে মেয়েরা জড়ো হবেন। সেখান থেকে মিছিলের আয়োজন করা হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টারে লেখা হয়েছে ‘মেয়েরা রাত দখল করো। The Night is Ours।’ জাস্টিস ফর আর জি কর। এই কর্মসূচির আহ্বায়ক সমাজতত্ত্বের গবেষক, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিমঝিম সিনহা। রাত দখল অভিযানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তৃণমূল নেতারাও যোগ দিতে চাইছেন। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাত দখল কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার কথা জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। মঙ্গলবার রাতে তিনি লিখেছেন, “কালকে আমিও প্রতিবাদে যোগ দেব। কেন না লক্ষ লক্ষ বাঙালির মতো আমিও এক জন মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু।” তবে বিরোধীরা তৃণমূল নেতার এই ঘোষণা বাঁকা চোখে দেখছেন।
বিরোধীদের দাবি মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু বলে মেয়েদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে তিনি যে কর্মসূচিতে সামিল হতে চাইছেন তা এককথায় রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছাড়া আর কিছুই না। কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে রাজ্যের পর্যবেক্ষক তথা আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্যয়ের বক্তব্য, সুখেন্দুশেখরকে আন্দোলনে পাঠিয়ে আসলে তৃণমূল তার দখল নেওয়ার ছক করেছেন। তবে এই প্রসঙ্গে দলের মধ্যে যে দ্বিমত রয়েছে তা স্পষ্ট। তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন মনে রাখুন, রাত মহিলাদের দখলেই থাকে বাংলায়। অর্থাৎ রাতের বাংলায় মেয়েরা নিরাপদ। দ্বিমত, বহুমত নানা মতামতের মাঝে আপাতত রাত দখলের অভিযান ঘিরে উন্মাদনা চরমে।
Discussion about this post