হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বনাম রাজ্যপালের মামলার শুনানি হল সোমবার । দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে রায়দান আপাতত স্থগিতই রাখল আদালত। সোমবারের শুনানিতে রাজ্যপালের আইনজীবী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে। দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজ্যপাল চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে কোনও ভয়ের কথা ছিল না। তারপরেও মহিলারা রাজভবনে যেতে ভয় পান এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। এটা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা হয়েছে , এটা তো সঠিক।’’ মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য মানহানিকর নয়। তিনি শুধু একটি মন্তব্য করেছেন। সাধারণের স্বার্থে এমন কথা বলেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেন সবাইকে রাজভবনে যেতে হবে? মহিলারা সেখানে যেতে নিরাপদ বোধ করেন না। মহিলারা তাঁকে সে কথা বলেছেন।
এটা মানহানি হতে পারে না। জনসমক্ষে রয়েছে, এমন কথাই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। এটা তাঁর বাক্স্বাধীনতা।’’ তারপরই রাজ্যপালের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘দুই বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা শপথ নেবেন। এটা প্রশাসনিক কাজকর্মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেখানে অন্য বিষয় কেন জুড়ে দেওয়া হল?’’ দুপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে আদালতের তরফে কিছুই বলা হয়নি। সোমবারের মতো শুনানি শেষ। আপাতত স্থগিত রায়দান। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। এই অভিযোগ নিয়ে জোর চাপানউতোর তৈরি হয়। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে জড়ায় আরও একবার। টানাপোড়েনের মাঝেই আবার বরানগর এবং ভগবানগোলার দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে নজিরবিহীন জটিলতা তৈরি হয়। সে প্রসঙ্গে উষ্মাপ্রকাশ করতে গিয়ে রাজ্যপালের শ্লীলতাহানির প্রসঙ্গ টেনে আনেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Discussion about this post