বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক সবসময়ই একটা সংবেদনশীল বিষয় ছিল। ১৯৭১ সালের ইতিহাস বিবেচনায় এ নিয়ে আলোচনা, রাজনীতি কম হয়নি। তবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে আওয়ামী লীগ আমলে, বিশেষত যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রেক্ষাপটে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নানা পরিবর্তনের মতো এখানেও কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। আভাস পাওয়া যাচ্ছে সম্পর্কের নতুন রসায়নের। এখন কি বাংলাদেশের কূটনীতিতে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসবে? পাকিস্তানের তরফ থেকে বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ কতটা? সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশেরই বা লাভ কী? অথবা সমস্যার জায়গাগুলো কী? প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অনেক দেশের মতো শুভেচ্ছা জানিয়েছে পাকিস্তানও। বাংলাদেশে পাকিস্তানের দূতাবাসেরও বেশ তৎপরতা দেখা গেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার দেখা করেছেন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে। দেখা করেছেন বিএনপির নেতাদের সাথেও। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে সাবেক কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করে কৌশলগত রোডম্যাপ তৈরি করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আলোচনায় আরও নিবিড় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আগ্রহ জানানো হয়েছে। এদিকে পাকিস্তান থেকে ব্যাপক পরিমাণ গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক আমদানি করতে চলেছে ঢাকা। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা আমদানির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের।ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিকে ৪০,০০০ রাউন্ড গুলি কেনার বরাত দিয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ২০০০টি ট্যাঙ্কের গোলা, ৪০টন আরডিএক্স বিস্ফোরক এবং ২,৯০০ রকেটেরও অর্ডার দিয়েছে ঢাকা। অথচ, গত বছর তারা পাকিস্তান থেকে শুধুমাত্র ১২,০০০ রাউন্ড গুলি কিনেছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে, তিনটি ধাপে বাংলাদেশকে এই গোলাগুলি দেবে পাকিস্তান। এই অঞ্চলে দুই প্রবল পরাক্রমী শক্তি ভারত ও চিন। তবে, আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বরাবরই নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। হাসিনার বিদায়ের পর, পাকিস্তান থেকে যেভাবে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করছে বাংলাদেশ, তা ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার জোরদার হওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশ তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও বাড়াতে চাইছে।
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে এসেছেন ডঃ খলিলুর রহমান। গত বছর ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের তদারকি সরকারের ক্ষমতা দখলের...
Read more
Discussion about this post