ভারতে আসছে R37 M মিসাইল। শত্রুপক্ষকে প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট এই মিসাইল। পাশাপাশি ভারত SU 57 এর দিকে এগোচ্ছে। আসলে বিষয়টা ঠিক কি? এদিকে লালমনিরহাটে এয়ার বেস তৈরি করছে বাংলাদেশ। এদিকে ভারত বাংলাদেশ বর্ডারে তৈরী করছে কৈলাশহর এয়ার বেস। তবে কি ভারতের টার্গেটে শুধুই বাংলাদেশ? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে। আসলে সে যায় হোক, ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের।
ভারতে কিনতে চলেছে R37 M মিসাইল। যা তৈরি করছে রাশিয়া। এটি একটি দূরপাল্লার এয়ার-টু-এয়ার গাইডেড মিসাইল, যা রাশিয়ার তৈরি। এই মিসাইল ভারতীয় বায়ু সেনার শক্তি বৃদ্ধি করবে। এমনকি এটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর ওজন 510 কিলো। এর অপারেশন রেঞ্জ দেড়শ থেকে সাড়ে চারশ কিলোমিটার। এই মিসাইলটিকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দূরপাল্লার বিমানবাহী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে দাবি করছে মস্কো। প্রতি ঘন্টায় ৭ হাজার ৪০০ কিলোমিটার গতিবেগে এটি ছুটে যেতে পারে।
অন্যদিকে লালমনিরহাটে এয়ার বেস করছে বাংলাদেশ। যেটি পশ্চিমবঙ্গের চিকেন নেকের কাছাকাছি। এখানে মনে করা হচ্ছে, চীন সেখানে ঘাঁটি গাড়তে পারে। ফলে তারা সমস্ত কিছু নজরদারি চালাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি পাকিস্তানকেও জায়গা করে দিতে পারে বাংলাদেশ। যা ভারতের জন্য আতঙ্কের হতে পারে। এদিকে ভারতও পিছিয়ে নেই। ত্রিপুরাতে একটি পরিত্যাক্ত এয়ার বেস রয়েছে। সেটি হল কৈলা শহরে। জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় এই এয়ার বেস ব্যবহার করা হয়েছিল। এটিও বাংলাদেশের বর্ডারের কাছে। এই এয়ার বেসটি তৈরি করতে পারলে, ভারত যেমন বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখতে পারবে, তেমন বাংলাদেশ যদি ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কোনও হুমকি দেয়, তবে ভারতও পাল্টা তাদের চিকেন নেকের উপর আঘাত হানতে পারবে।
অন্যদিকে বলা হচ্ছে, ভারত SU 57 এর দিকে ঝুঁকছে। Su 57 আসতে চলেছে বলেই R 37 M মিসাইল এর চুক্তি হয়ে চলেছে বলে খবর। R 37 M মিসাইল ভারতে তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি SU 57 ভারতে তৈরি হয়, তবে তাহলে Su-30MKI এর সঙ্গে অ্যাটাচ করলেও করা যেতে পারে। আসলে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে S 400 দিয়ে যেভাবে পাকিস্তানের একের পর এক ড্রোন বিমান যুদ্ধাস্ত্র ধ্বংস করেছে ভারত, তাতে গোটা বিশ্বের সারা ফেলে দিয়েছে। তবে ভারত যুদ্ধাস্ত্রের ভান্ডার শক্তিশালী করার জন্য এই সমস্ত যোগ করার কথা ভাবছে। ভারতের এই প্রস্তুতি আরো বেশি ভাবাচ্ছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান এবং অবশ্যই বাংলাদেশ। কারণ সম্প্রতি বাংলাদেশ যেভাবে ভারতকে নানাভাবে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করছে, এবং লালমনিরহাটে এয়ার বেস তৈরি করে চীন এবং পাকিস্তানকে জায়গা করে দিতে চাইছে, তাতে চুপ যে থাকেনি ভারত, সেটা বুঝতে পারছে ইউনূসের দেশ।
Discussion about this post