শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরবেন কিনা, এই প্রশ্ন যেমন তৈরি হচ্ছে, তেমনই হাসিনা দেশে ফিরলে কবে কখন কিভাবে দেশে ফিরবেন সেই নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। পাশাপাশি,তিনি আগামী দিনে দেশে ফিরছেন কিনা সেই দিকে নজর রয়েছে সকলের। এই আবহে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জানালেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই খুব শীঘ্রই দেশে ফিরবেন সেই বিষয়ে আশাবাদী তিনি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ফিরে আসা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে চরম অস্থিরতা অব্যহত। এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসবেন কিনা সেই জল্পনা তৈরি বিভিন্ন মহলে। তবে কি সত্যিই ফের বাংলাদেশে ফিরতে চলেছে হাসিনা? কিছুদিন আগে একটি ভিডিও বার্তায় আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সমাপ্দক দাবি করেন যে, বাংলাদেশ হাসিনার আমলে চরম উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
তাঁর কথায়, ‘আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের দেশে মার্চ মাসের মধ্যে পরিবর্তন হতে চলেছে। এই বিষয়টা নিশ্চিত যে মুজিবকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা খুব শীঘ্রই আগেই বাংলাদেশে আসবেন।’ এবার হাসিনার দেশে ফেরার প্রসঙ্গে, সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বী আলম বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আবার দেখা যাবে বাংলাদেশে। তার প্রত্যাবর্তন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
ড. রাব্বী আলম শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের নিরাপদ আশ্রয় ও যাতায়াতের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেক নেতাই ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই তাদের সহায়তার জন্য।” বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের বহু নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তিনি জানান। ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই যে তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপদ ভ্রমণের পথ প্রসস্থ করেছেন। পাশাপাশি, তিনি বাংলাদেশের বর্তমান উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বলেন, তাদের ফিরে যেতে হবে, যেখান থেকে তারা এসেছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসছেন, কিন্তু এই সংকট তরুণদের ভুল নয়, বরং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
Discussion about this post