জঙ্গি হামলার স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের! ভারতের ভূস্বর্গ কাশ্মীরের, পহেলগাঁও এর বৈসরণ ভ্যালি সুসজ্জিত উপত্যকা এক ঝটকায় যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হলো। বেছে বেছে শুরু হলো হিন্দু নিধন যজ্ঞ। নিরস্ত্র পর্যটকদের ওপর তান্ডব লীলা চালালো সন্ত্রাসবাদীরা। আর সেই হামলার দায় স্বীকারও করল ওই জঙ্গি সংগঠন, হ্যাঁ
ভারতের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করল পাকিস্তানের সন্ত্রাসী জঙ্গি সংগঠন কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স।
সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলায় দেখা গেল এক রোমহর্ষক চিত্র। যেখানে একের পর এক পর্যটকদের বেছে বেছে গুলিতে ঝগড়া করে দিল জঙ্গি সন্ত্রাসবাদীরা। ভূস্বর্গ কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওতে জঙ্গিদের তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছে বহু পর্যটক। আহতের সংখ্যাও প্রায় ২০ জন। ঘটনায় আশঙ্কা জনক অবস্থাতেও বহু পর্যটক। সরকারিভাবে নিহতদের সংখ্যা স্পষ্ট না করা হলেও রয়টার্সের সূত্র বলছে, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫। এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে।
ভারতের এ পর্যটন কেন্দ্রে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাক জঙ্গি সংগঠন কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে এই হামলার সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করেছে। তারা জানাচ্ছে নতুন আবাসিক আইনের বিরুদ্ধে ক্রোধ থেকেই এই জঙ্গি হামলা বলে জানাচ্ছেন তারা। কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স এর দাবি, নয়া আবাসিক আইনে কাশ্মীরীদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে কাশ্মীর জবরদখল করা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ের এই পর্যটকহামলা তারই জবাব।
এই জঙ্গিদের যে দাবি নতুন আবাসিক আইন প্রসঙ্গে, আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক আসলে এই আবাসিক আইন কি এবং সংবিধান সংশোধনের পর সন্ত্রাসবাদীরা এই আইনের বিরুদ্ধে যা দাবি করছে তা সত্যিই কি তাই?
ভারতের এই ধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটতে দেখা গেলেও পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনা সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে নিন্দার গোটা বিশ্বে।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়। সেই সঙ্গে বাতিল করা হয় ৩৫ এ অনুচ্ছেদও। ৩৭০ ধারায় বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। আর অবলুপ্ত করা ৩৫এ তে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকারের কথা উল্লেখ করা ছিল। আর এরপর নতুন আইনের অধীনে যে সমস্ত বাসিন্দারা 15 বছর বা তার বেশি সময় ধরে ওই এলাকায় বসবাস করেন তারা তাই ভাবে বসবাসের মর্যাদা পেতে পারেন। পাশাপাশি যারা 10 বছরেরও বেশি সময় সরকারি চাকরি করছেন কাশ্মীরে তারা স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বিবেচিত হবেন। আরো বেশ কিছু শ্রেণির মানুষের এই আইনের আওতায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ মিলেছে। আর এই সিদ্ধান্তেই জঙ্গিদের ঈর্ষার শিকার হতে হয়েছে ভারতের এই অংশটিকে।
উল্লেখ্য, এই হামলার ঘটনা ঘটার পরই নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। এবং চূড়ান্ত তল্লাশিও শুরু করে তারা। স্থানীয় পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহিনীর যৌথভাবে তল্লাশি কার্য চালিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা রক্ষীদের সক্রিয়তা আরো বাড়ানো হয়েছে। সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। এবং পহেলগাঁওতে আগত পর্যটকদেরও এই এলাকায় যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
Discussion about this post