পাকিস্তানের মাটিতে ঘটে যাওয়া সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা এখনও দগদগে ঘায়ের মত প্রতিটি ক্রিকেট প্রেমী মানুষের মনে গেঁথে আছে। ক্রিকেট মাঠে অসহায় শ্রীলঙ্গার খেলোয়াড়দের ছুটাছুটি আর্তনাদ আর বাইরে সমান তালে জঙ্গীদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই।রক্তাক্ত খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে সরাসরি বিমানে ওঠানোর দৃশ্য এখনও মলিন হয়নি। ২০০৯ সালের ৩রা মার্চ লাহোরের কেন্দ্রস্থলে লিবার্ট স্কয়ারের কাছে ১২জন বন্দুকধারী আত্মগোপন করেছিল। তারা শ্রীলঙ্কা দলকে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বহনকারী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। বাসটি যখন রাস্তা অতিক্রম করছিল তখন অতর্কিতে বাসকে লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাকিস্তানি পুলিশও শ্রীলঙ্কা দলকে রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গুলি চলাকালে ছয় পুলিশ ও দুইজন নিরীহ সাধারণ ব্যক্তি নিহত হয়। কিছু প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় যে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা রক্ষীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। প্রায় ২০ মিনিট পর রকেট লাঞ্চার ও গ্রেনেড ফেলে সশস্ত্র বন্দুকধারীরা পালিয়ে যান
আবার হুমকির মুখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যার শুরু হতে আর এক মাসও বাকি নেই। চলছে চুড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। তার মধ্যেই নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে ভয়ের বাতাবরণ তৈরী করতে বিশ্বকাপ চলাকালীন পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন হুমকি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারই জেরে সবধরনের নিরাপত্তার কড়াকড়ি বাড়ানো হচ্ছে বিশ্বকাপ ঘিরে।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ়’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন ‘প্রো-ইসলামিক স্টেট এই হুমকি দিয়েছে। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমে তারা দাবি করেছে যে বিশ্বকাপ চলাকালীন নাশকতা হবে। যে সংবাদমাধ্যমে এই খবর বেরিয়েছে সেটি ইসলামিক স্টেট সংগঠন চালায়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রো-ইসলামিক স্টেট সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ করছে। যার মধ্যে বেশীর ভাগইখেলার মাঠে বিভিন্ন সময়ে যে সব নাশকতার ঘটনা ঘটেছে সেগুলিই আছে সেই সব ভিডিয়োতে। এই ভিডিয়ো প্রকাশ করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের তাদের লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে ঐ জঙ্গি সংগঠন।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া সব দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের। সেই দায়িত্ব তারা যথাযথ পালন করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ক্রিকেট বোর্ডের সিইও জনি গ্রেভস বলেন, “আমরা আইসিসির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। যে কয়েকটি মাঠে বিশ্বকাপ হবে সেখানে ও টিম হোটেলে যাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকে তা নিশ্চিত করা হবে। আমি সব দেশকে জানিয়ে দিতে চাই, যে ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।” আগামী ২রা জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার দায়িত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পাশাপাশি আমেরিকাতেও থাকছে । এই প্রথম কোনও ক্রিকেট বিশ্বকাপে ২০টি দেশ খেলবে। ৯ জুন ভারত-পাকিস্তান প্রথম মুখোমুখি হবে গ্রুপ পর্বের খেলায়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশ গ্রহন নিয়ে, পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক দড়ি টানাটানির পর, যদিও বা হাইব্রিড মডেলে ভারত পাকিস্তান রাজি হল।...
Read more
Discussion about this post