খেলার মাঠে আবেগের বহিঃপ্রকাশের ধরন বিভিন্ন রকম । যখন কোন খেলোয়াড় সফল হয় তখন এর বহিঃপ্রকাশ একরকম । যখন কেউ হেরে যায় বা কোন ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে বহিঃপ্রকাশে অন্যরকম। কিন্তু আবেগ কতটা সকলের সামনে দেখানো যাবে, তা একটা সীমা থাকা উচিত। সেটা পেরিয়ে গেলেই সকলের চোখে বাজে ভাবে ধরা দেয়। সেই কারণে খেলার মাঠে বিভিন্ন কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হয়েছে যা খেলোয়াড়দের আবেগের প্রকাশকে নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকটা সাহায্য করেছে ।
সম্প্রতি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং লখনৌ সুপার জায়েন্টসের ম্যাচে লক্ষনৌ দলের মালিক যেভাবে সকলের সামনে রাহুলকে অপমান করেছেন তা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র । একজন দলের মালিক তার অধীনে কর্মরতদের পারফরম্যান্স নিয়ে কি জবাব চাইতে পারেন উঠেছে সেই প্রশ্ন। এ বিষয়ে প্রবল ট্রোলিং-এর শিকার হচ্ছেনা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, উঠছে নানা ধরনের তুলনা । নিজের দলের খেলোয়াড়দের সাথে ভালো ব্যবহারের তুলনায় চলে আসছে শাহরুখ খানের নাম। গোয়েঙ্কা যেভাবে চিৎকার রাহুলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছিলেন তাতে সারা দেশের ক্রিকেট ফ্যানরা রাহুলকে আবেদন করেছেন অত অপমান সহ্য করে দলে থাকার দরকার নেই। তিনি চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসেন। বারবারই সবাই তুলনা করছেন শাহরুখ খানের সঙ্গে, তিনি খেলার মাঠে কি ব্যবহার করেন তা সবাই দেখেছে।
শাহরুখ খান ২০০৮ সাল থেকে ফ্রানচাইসির ক্রিকেটে আছেন। তার দল দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, একবার শেষ দিকে থেকে দৌড় শেষ করেছে । একাধিকবার প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি। একবারও নিজের মেজাজ হারাননি শাহরুখ খান । সকলের সামনে কি করতে হয় তা ভালো করে জানেন এই অভিনেতা ।
কেকেআর ছাড়াও পৃথিবীর আরও দুই জায়গার ক্রিকেট ফ্রানচাইসির মালিক শাহরুখ খান। একাধিক লিগে একাধিক মালিকানার চাপ প্রচুর তাও প্রতিটি ফ্রানচাইজি দলের সঙ্গে অত্যন্ত সুন্দর পেশাদার সম্পর্ক শাহরুখের। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যখন কেকেআরের ক্যাপ্টেন ছিল তখনও তিনি দলকে ভালো ফল দিতে পারেনি এবং ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তার সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল।। তখনও কিন্তু কোনদিন শাহরুখ খানকে কোনরকম বাক-বিতণ্ডা করতে দেখা যায়নি সৌরভের সঙ্গে । এদিকে এবার পাঞ্জাব যখন কেকেআরের ২৬১ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়লাভ করে তখন কিন্তু শাহরুখ খান কোন অপ্রিয় কথা বলেনি এবং পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি আলাদা করে কথা বলেছিলেন।
বোলারদের সঙ্গে। কে কে আর স্পিনার বণরু চক্রবর্তী বলেছেন ,শাহরুখ খান সর্বদাই বোলারদের মোটিভেট করেন ।। প্রীতি জিন্টার পাঞ্জাব কিংস কখনো আইপিএল জেতেনি । রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু কখনো আইপিএলে ট্রফি পায়নি। কিন্তু কখনওই তাদের মালিকদের খারাপ আচরণ বা কোন রকম বহি প্রকাশ করতে দেখা যায়নি খেলোয়াড়দের সঙ্গে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশ গ্রহন নিয়ে, পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক দড়ি টানাটানির পর, যদিও বা হাইব্রিড মডেলে ভারত পাকিস্তান রাজি হল।...
Read more
Discussion about this post