এ বছর মোহনবাগান ডুরান্ড কাপ জিতেছিল। আই লিগ শীল্ড ফাইনালেও মুম্বাইকে পরাজিত করেছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে । দুটি ট্রফি জেতায় এবং আই লীগের ফাইনালে ওঠায় মোহনবাগানের উপর প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল । যেহেতু মোহনবাগানের ঘরের মাঠে আই লিগ ফাইনাল খেলেছিল সেজন্য মোহনবাগানকে সবাই ফেভারিট হিসেবে ধরেছিলেন।
স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের। আইএসএল ফাইনালে যুবভারত মুম্বাই সিটি এফসির পরাজিত হয়ে ত্রিমুকুট জয়ের স্বপ্ন পূরণ হলো না মোহনবাগানের । প্রথমে গোল করে এগিয়ে গেলেও পরাজয় বরণ করতে হল শুভাশিসদের । যে যে কারণ এর জন্য মোহনবাগান হারলো তা বিশ্লষণ না করলে দেখা যাচ্ছে প্রথম কারণ মাঝমাঠ খেলা ধরতে না পারা । ফুটবলে একটি কথা আছে যে মাঝমাঠের দখলে আছে যার ম্যাচ জিতবে তারাই। শনিবারের গোটা ম্যাচ জুড়ে মাঝমাঠের দখল ছিল মুম্বাই সিটি এফসি দলের। মোহনবাগান মাঝমাঠে জনি কাউকো, অনিরুদ্ধ থাপা, লিস্টন কোলাসো , দীপক টাঙরি সকলেই বল ধরে খেলার চেষ্টার ক্ষেত্রে ব্যর্থ বলা যায়। সে কারণেই মোহনবাগান তেমনভাবে আক্রমণ তৈরি করতে পারিনি।
তাই ম্যাচে মোহনবাগান গোলের সুযোগ খুবই কম তৈরি করতে পেরেছিল। মোহনবাগানের দ্বিতীয় কারণ রক্ষণের ভুল । যে রক্ষণ মোহনবাগানকে সারা বছর ভরসা দিয়েছিল সে রক্ষণের ভুলেই মোহনবাগান ফাইনালে ডুবলো । শুভাশিস বসুর গতি মোহনবাগানকে ভুগিয়েছে । যার ফলে বারবার নিচে নেমে আসতে হয়েছিল মানবীর সিং এবং লিষ্টন কে । মুম্বাই প্রথম দুটি গোল করে মোহনবাগান রক্ষণের দোষে । একই সঙ্গে সমান দোষী মনোহবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ । প্রথম দুটি গোলের ক্ষেত্রেই সঠিক জায়গায় ছিলেন না তিনি । পরাজয়ের তৃতীয় কারণ হিসেবে যেটা বলা যায় তা হলো আক্রমন ভাগে লোক সংখ্যা কম থাকা । আরমানদো সাদিকু না থাকায় আক্রমণে একা ছিলেন জেসন কামিন্স । সারা ম্যাচে গোল করা ছাড়া বিশেষ কিছুই করতে পারেননি তিনি। বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বিরক্ত করার কাজেও তিনি সফল নয় । আক্রমণ ভাগে লোকসংখ্যা কম থাকায় বারবারই কামিন্স একা হয়ে যাচ্ছিল ফলে কোন আক্রমণই দানা বাঁধতে পারছিল না মোহনবাগানের । কোচ হাবাসের বেশ কয়েকটি ভুল বিশেষজ্ঞদের নজরে পড়েছে ।
মনবীর সিং এবং লিস্টন কোলাসো মোহনবাগানের দুই প্রান্তে দুই খেলোয়ারকে তিনি নামিয়ে রেখে দিয়েছেন । আক্রমণভাগের মূল দুই অস্ত্রকে ভোঁতা করে দিয়ে তিনি মাঝ মাঠে কেও দুর্বল করে দিয়েছিলেন । আক্রমণ ভাগের লোক কম থাকায় বোম্বাইয়ের ডিফেন্ডার রা নিশ্চিন্তে খেলেছেন । আই লিগ শীল্ড ফাইনালে মোহনবাগান চারজন ডিফেন্ডার নিয়ে খেলেছিল । সেক্ষেত্রে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে তিনজন ডিফেন্ডার নিয়ে খেলা মোহনবাগানের বড় ভুল।।
Discussion about this post