কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে নতুন কোচের জন্য ভাবছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড,
আর তা হয়তো খুব শিঘ্রিই বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়েও দেবে বোর্ড। খবর সত্যি হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই রাহুলের জায়গায় নতুন মুখ আসতে চলেছে ভারতীয় দলে। যদিও রাহুলকে নিয়ে কোন খেলোয়াডের দিক থেকে কোন আপত্তি বা অসন্তোষ শোনা যায়নি। যা রাহুলের পূর্ববর্তী অনেক কোচেদের ক্ষেত্রেই, খেলোয়াড় এবং কোচের মধ্যে মতপার্থক্য প্রকাশ্যে এসেছে। বোর্ড সচিব জয় শাহের মতে জুন মাস পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে রাহুলের সঙ্গে। এবং রাহুল চাইলে আবেদনও করতে পারে। তবে কোচের নির্বাচন তিনি একা করেন না। উপদেষ্টা কমিটি যেমন সিদ্ধান্ত নেবে, তার উপরই ঠিক হবে আগামী দিনের কোচ নির্বাচনের পদ্ধতি এবং পরিকল্পনা। তবে প্রধান কোচ কে হবেন তা ঠিক করার পরই ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোচ বাছাই করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অনেকেই মনে করছেন ভারতীয় বোর্ড বিদেশি কোচের পক্ষ্যেই সায় দেবে। কারণ গত দুই দশকে ভারত যত ট্রফি জিতেছে তা প্রায় সবই বিদেশি কোচের সময়ে।যদিও ২০০০ সালেই প্রথম কোন বিদেশিকে ভারতীয় ক্রিকেট দলে প্রথম কোচ করা হয়েছিল। তখন কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জন রাইটকে।
ভারতীয় ক্রিকেটে টালমাটাল অবস্থা খারাপ পারর্ফমেন্স সঙ্গে গড়াপেটার ভুত। সব মিলিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের মান তলানিতে সেই সময় নিউ জ়িল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার জন রাইটকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতীয় দলের। সেই সময় রাইট এবং নতুন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মিলে ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন দিশা দিয়েছিলেন। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেটে এক ঝাঁক নতুন ক্রিকেটারকে সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে হরভজন সিংহ, যুবরাজ সিংহ, বীরেন্দ্র সহবাগ, জাহির খান, মহম্মদ কইফ, আশিস নেহরার মতো তরুণ ক্রিকেটারটা ছিলেন। যাদের দক্ষতা পরিশ্রম সাফল্য বদলে দেয় ভারতীয় ক্রিকেটকে, বলা চলে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাড়ায় ভারতীয় ক্রিকেট।তৈরী হয় সৌরভের টিম ইন্ডিয়। সেই টিম ইন্ডিয়া ২০০৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে। জন রাইট পাঁচ বছর ভারতীয় ক্রিকেটারদের সামলেছিলেন।রাইট দায়িত্ব ছাড়ার পর অনেকটা সৌরভের ইচ্চাতেই কোচ করে আনা হয় অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেলকে । কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে সৌরভের সম্পর্কের অবনতি হয় এবং চ্যাপেলের হাতেই ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হয় বিভেদ যার প্রভাব পড়ে ২০০৭ বিশ্বকাপে আর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় ভারতকে, সেই সঙ্গে বিদায় নিয়েছিলেন চ্যাপেলও।
চ্যাপেলের পরবর্তী বিদেশি কোচ হোন গ্যারি কার্স্টেন । মূলত তাঁর প্রশিক্ষণেই ভারত ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ জিতেছিল। শুধুতাই নয় ২০১০ সালে কার্স্টেনের হাত ধরেই ভারত প্রথম টেস্টের ক্রমতালিকায় এক নম্বর দলের তকমা পেয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার কার্স্টেন এবং ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির জুটি ভারতীয় দলের মান এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।এবার সেই সাফল্যের কথা মাথায় রেখেই কি বিদেশি কোচের দিকে ঝুকবে বোর্ড। তবে কোচ যিনিই হোন না কেন, বোর্ড চাইবে ২০২৭ সালের একদিনের বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি করতে।
কানপুরে আড়াই দিনের বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত করে জয়লাভ করে ভারত। বোলাররা জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন আর ব্যাটাররা আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জয় নিশ্চিত...
Read more
Discussion about this post