ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দল সবসময়ই তারকা সম্পন্ন একটি দল। যে দলে যেমন প্রতিভার কোন অভাব নেই তেমন প্রতিভা সম্পন্ন উৎশৃঙ্খল খেলোয়াড়ের সংখ্যাও কম নেই। আর এ বিষয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই, যার ফল স্বরূপ কিছু খেলোয়াড়কে জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ করা হয়নি। এমন একটি দলকে সামলানো মুখের কথা নয়। যেখানে ক্রিকেটারদের খেলার মান ঠিক করার পাশাপাশি তাদেরকে শৃঙ্খলার আবদ্ধে ধরে রাখা বিরাট একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। আর সেই দায়িত্ব কার কাঁধে তুলে দেওয়া যায়, তারই খোঁজ শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
তারা বিজ্ঞাপন দিয়ে আগ্রহীদের আবেদন নেওয়াও শুরু করে দিয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে যে রাহুল দ্রাবিড়কে আবার কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি । ভারতের জাতীয় দলের কোচ হিসাবে নিজের মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নন তিনি । জুন মাসেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে দ্রাবিড়ের।
গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপের পর নতুন চুক্তিতে সই করেছিলেন তিনি। তখনই ঠিক করে নিয়েছিলেন এটাই তাঁর শেষ মেয়াদ হতে চলেছে বলে দাবি এক ওয়েবসাইটের ।ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি, দলের কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন, অন্তত আরও এক বছর টেস্ট দলের কোচ থেকে যাওয়ার জন্য। দ্রাবিড় তাদেরও নাকি প্রত্যাখ্যান করেছেন। একটি সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে নিউ জ়িল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে কথা বলছে বোর্ড। তাঁকে দ্রাবিড়ের উত্তরসূরি হিসাবে পেতে চাইছে বিসিসিআই। কিন্তু তিনি এখন চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ । আইপিএলে ২০০৯ সাল থেকে চেন্নাইয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ফ্লেমিং । দলের সাফল্য বলছে সফল ভাবে কোচিং করাচ্ছেন তিনি । ট্রফি জিতিয়েছেন দলকে। অনেকের মতে দ্রাবিড়ের জায়গা নেওয়ার জন্য যথেষ্ট যোগ্য তিনি। নিশ্চয় ফ্লেমিং যথেষ্ট যোগ্য কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে তিনি যাবেন কিনা সেটা ভাবনার বিষয়।অন্য দিকে, দ্রাবিড়ের জায়গায় দায়িত্ব নেওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ অবশ্য যদি তিনি আবেদন করেন তবে। এই মুহূর্তে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান তিনি। দ্রাবিড় এক সময় এই দায়িত্ব পালন করে এসেছেন । দ্রাবিড় জাতীয় দলের দায়িত্ব নিলে, লক্ষনকে ঐ দায়িত্ব দেওয়া । দ্রাবিড় কোচ থাকার সময়ও লক্ষ্মণকে কয়েকটি সিরিজ়ে কোচ হিসাবে দেখা গিয়েছিল। দায়িত্ব এবং অভিজ্ঞতার বিচারে লক্ষণ নিশ্চয় ভারতের জাতীয় দলের দীর্ঘ্য মেয়াদী কোচ হওয়ার যোগ্য।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশ গ্রহন নিয়ে, পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক দড়ি টানাটানির পর, যদিও বা হাইব্রিড মডেলে ভারত পাকিস্তান রাজি হল।...
Read more
Discussion about this post