আইপিএলের ইতিহাসে নতুন ধারার জন্ম দিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ । এর আগে দুবার সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেছেন তারা। আগের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ ২৭৭ রান মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে তারপর সেই রেকর্ড ব্রেক করে ২৮৭ রান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এর বিরুদ্ধে । বুধবার উপ্পলে যা ঘটল তা বিশ্বাস করা শক্ত। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে লখনৌ সুপার জায়েন্টস স্কোরবোর্ডে তারা তুলতে পেরেছিল মাত্র ১৬৫ রান। তখনই বোঝা গিয়েছিল যে হায়দ্রাবাদকে আজ আটকানো কঠিন হবে কিন্তু এরকম একটা ম্যাচ মাত্র ৪৫ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড করে মাত্র ৯ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে দেয় হায়দ্রাবাদ । ১৬৬ রানের টার্গেট নিয়ে নেমে হায়দ্রাবাদ বিনা উইকেটে ১৬৭ রানে পৌঁছে যায় মাত্র ৯ .৪ ওভারে ।
হায়দ্রাবাদের ঝড় সৌজন্যে ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা, ৬২ বল বাকি থাকতে দশ উইকেটে হায়দ্রাবাদ এই জয় আইপিএলে এক নতুন রেকর্ড। এটাই আইপিএলের দ্রুততম ১৫০ প্লাস রান তাড়া করার নজির । অবশ্যই রেকর্ডের বাইরে হেড অভিষেক জুটি যেন আইপিএলের ওপেনিং জুটির সংঙ্গাই বদলে দিয়েছেন। প্রথম বল থেকেই বেধড়ক মারের নিদর্শন। ৩০ বলে ৮৯ নট আউটের ইনিংসে ৮টি ছক্কা ও আটটি ৪ মেরেছেন অস্ট্রেলিয়ার হেড। তার অর্ধশতরান হয় মাত্র ১৬ বলে। ট্রাভিজের স্ট্রাইক রেট ২১৬. ৬৬ ।
অন্যদিকে, আনক্যাপট প্লেয়ার অভিষেক কোন অংশে পিছিয়ে ছিলেন না। অভিষেক ২৮ রানে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন । অভিষেক মেরেছেন ৮টি ছক্কা এবং ছটি ৪ । তার স্ট্রাইক রেট ২৬৭.৮৫। এক কথায় লখনৌ বোলিং আক্রমণ কে খরকুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে গেছেন হেত এবং অভিষেক । লখনৌ ইনিংস কে ১৬৫রানে থামিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুবনেশ্বরের অবদান সবচেয়ে বেশি। টি-টোয়েন্টিতে কৃপণ বোলিংয়ে চোখ টানলেন তিনি। ভুবনেশ্বরে বোলিং পারফরমেন্স এইরকম ৪ ওভার ০ মেডেন ১২ রান ২ উইকেট । ৪৭ রান দিয়ে ১ উইকেট দখল করেন প্যাট কামিংস । লখনৌ ইনিংসে নিকোলাস পুরান ৪৮ নট আউট এবং আউশ বাদানি ৫৫ নট আউট, ভালো ব্যাটিং করলেও ক্যাপ্টেনকে রাহুল করেন ২৯ রান । এই ম্যাচ জেতায় কাল আবার প্লে-অফের দৌড়ে ফিরে এল হায়দ্রাবাদ। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এলো প্যাট কামিংসের দল । ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে লখনৌ ।
এদিন ফলাফলের পর পাকাপাকিভাবে প্লে অফের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল মুম্বাইয়ের। ম্যাচ শেষ হবার পর সম্প্রচারকারী চ্যানেলে অভিষেক বলেছিলেন, দল পরিচালন সমিতিকে ধন্যবাদ আমার উপরে ভরসা রাখার জন্য। দলের ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা খুবই পরিষ্কার । তাই আমি ব্যাটিং উপভোগ করছিলাম। ১১ টি ম্যাচে ট্রাভিস হেড ৫৩৩ রান করে ফেলেছেন। পেসারদের বিরুদ্ধে তো বটেই স্পিনের বিরুদ্ধেও অবিশ্বাস্য সব শট খেলছেন হেড। মাঠের চারদিকে । ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন হেড।
Discussion about this post