: মুম্বাইয়ের কিংবদন্তি কোচ রমাকান্ত আচরেকরের স্মরণ সভায় বিনোদ কাম্বলিকে দেখে আঁতকে উঠেছেন অনেকেই ।চোখ মুখ ঢুকে গিয়েছে ,হাত কাঁপছে, আচারনও যেন একটু অপ্রকৃতস্থ ।এ যেন বিনোদ নয় ,বিনোদের ছায়া মাত্র। মঞ্চে প্রবীণ আমরে ,বলবিন্দর সিং সান্ধু সঞ্জয় বাঙ্গাররাও বসে । বিনোদ কাম্বলি কে দেখে সচিন নিজেই এগিয়ে যান। বিনোদ প্রথমে বুঝতে পারেননি। তারপর বাল্যবন্ধুর হাত এমন ভাবে আঁকড়ে ধরেন যেন আর ছাড়বেন না এই ভাবেই উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টাও করেন ।কিন্তু দাঁড়াতে পারেননি। কাম্বলির এমন হাল হলো কি করে ?এই নিয়ে চর্চা চলছে বিস্তর। অনেকেই তাঁর মধ্যপানের আসক্তি, উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনকেই দায়ী করছেন। কিন্তু তাকে তো সুস্থ করে তুলতে হবে। কাম্বলির জন্য এবার এগিয়ে এলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপের জয়ী দলের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন , সমস্ত খরচ খরচা তারাই বহন করবেন।কিন্তু শর্ত একটাই কাম্বলিকে নিজে রিহ্যাবে যেতে হবে। ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য সান্ধু একটি সংবাদপত্রে জানান, “কপিল দেব আমায় বলেছেন, কাম্বলি যদি রিহ্যাবে যেতে চায় তাহলে আমরা সব রকম সাহায্য করব। “এরপর তিনি শর্ত দেন,” যতদিন চিকিৎসা চলে চলুক ।সব খরচ আমরা দেব ।কিন্তু কাম্বলি কে নিজে রিহ্যাবে ভর্তি হতে হবে।” ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা যখনই সমস্যায় পড়েছেন এগিয়ে এসেছেন কপিল অ্যান্ড কোং। পাশে দাঁড়িয়েছে, আর্থিক সাহায্য করেছে। কিন্তু কাম্বলি ঘনিষ্ঠ আম্পায়ার মার্কাস কুটো জানিয়েছেন ,ওকে রিহ্যাবে পাঠানোর কোন মানে হয় না। কারণ জানতে তাহলে তিনি বলেছেন ,কাম্বলি কে চোদ্দবার রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছে ।আমরাই তিনবার ভাসাইয়ের একটি রিহ্যাবে নিয়ে গিয়েছিলাম ।কিন্তু যে কে সেই ।অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি।” দেশের জার্সিতে ১৭ টি টেস্ট এবং ১০৪ টি ওয়ানডে খেলেছেন কাম্বলি ।টেস্টে ১,০৪৮ এবং ওয়ানডেতে ২৪৭৭ রান করেছেন ।রয়েছে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি ।তবে নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করেনি কোনদিনই ।সেই অভ্যাস বোধহয় এখনো রয়ে গিয়েছে কাম্বলির।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশ গ্রহন নিয়ে, পাকিস্তানের সঙ্গে অনেক দড়ি টানাটানির পর, যদিও বা হাইব্রিড মডেলে ভারত পাকিস্তান রাজি হল।...
Read more
Discussion about this post