বলা হয়ে থাকে, “বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ”। সব পার্বণের শ্রেষ্ঠ পার্বণ দুর্গাপুজো। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব হিসেবে দুর্গাপূজা ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি পেয়েছে। এই দুর্গাপুজোর সাথে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আর্থিক ও সামাজিক বন্ধন। সারা বছর মানুষ অপেক্ষা করে এই দুর্গা পুজোর জন্য ।সারা বছরের নানা পরিকল্পনা আশা-আকাঙ্ক্ষা তাঁরা দুর্গাপূজার সময় মেটানোর চেষ্টা করে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এ দুর্গা পুজা অংশগ্রহণ করে ।তাই ক্রীড়া জগত পিছিয়ে থাকতে পারে না এই দুর্গাপূজার থেকে। কলকাতার বিখ্যাত দুর্গা পূজা লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাব। প্রত্যেক বছরই তারা বিভিন্ন রকম চমক সৃষ্টি করে তাদের মণ্ডপ ,আলোকসজ্জা এবং নামকরা অতিথিদের দিয়ে উদ্বোধন করানোর মাধ্যমে। এবছর শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের উদ্বোধনে এসেছিলেন প্যারিস অলিম্পিকের জোড়া ব্রোঞ্চ জয়ী ক্রীড়াবিদ মানু ভাকের। দেবিপক্ষে একজন মহিলা ক্রীড়াবিদকে দিয়ে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো শ্রীভূমি ক্লাব। দক্ষিণ কলকাতার সুরুচি সংঘের পূজোর উদ্বোধন করেছেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে এসে আপ্লুত হয়ে পড়েন লারা ,বাঙালির এই দুর্গা পূজার আবেগ এবং ঔজ্জ্বল্য দেখে। এছাড়াও সৌরভ গাঙ্গুলী উদ্বোধন করেছেন বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজোর। প্রখ্যাত খেলোয়াড়দের দিয়ে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করানোর রীতি কলকাতার বহুদিনের ।মূলত বিদেশি খেলোয়াড়দের দিয়েই এই উদ্বোধনের রীতি চলে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন খেলোয়াড় এবং কোচদের দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পুজোর উদ্বোধন করানো হয়েছে। এবার দুর্গা পুজোর আরো একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা মেহতাব -মৌমিতার উদ্যোগে বাড়িতে দুর্গাপুজোর আয়োজন। মেহতাব হোসেন তার নিউটনের বাড়িতে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে। এই প্রথমবার । মেহতাবের আয়োজনে এই দুর্গাপুজো সম্প্রীতির নতুন বার্তা বহন করে আনছে আমাদের সমাজে। এক কথায় বলা যায় সকলের আগমনে ,সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে আমাদের দুর্গাপুজো সর্বজনীন হয়ে উঠেছে।
Discussion about this post