সবকিছু ঠিকঠাক এগোচ্ছিল। গোল পাকিয়েছে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচন। ফলাফল দেখিয়ে ইস্তফার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী আটাল ।তাতেই মাথায় হাত অলিম্পিক্স আয়োজকদের। ‘গ্রেটেস্ট শো অফ আর্থ’ অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। বিভিন্ন দেশে খেলায়াড়রা পৌঁছাতে শুরু করেছেন। প্যারিসে ২৬ জুলাই অলিম্পিকিসের উদ্বোধন হাতে মাত্র কয়েকদিন ।কিন্তু এখনো অলিম্পিকের উদ্বোধন কে করবেন ,চূড়ান্ত করতে পারছেন না আয়োজকরা।
দেশের পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি উদ্বেগে রেখেছে অলিম্পিক আয়োজক কমিটিকে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরর দল রেনেসাঁ পার্টি নেতৃত্বে জোট রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে আসন সংখ্যার শীর্ষে চলে আসছে বামপন্থী দলগুলির জোট ,’নিউ পপুলার ফ্রন্ট’। সেই জোটও সরকার গঠনের জাদু সংখ্যা থেকে অনেক দূরে। এই পরিস্থিতিতে মাকরর দলের প্রধানমন্ত্রীআটাল ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাতে চান তিনি। প্রেসিডেন্ট মাকর এখনো মুখ খোলেননি তাতেই সমস্যায় পড়েছেন অলিম্পিক আয়োজকেরা।
প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী আটাল। কিন্তু তিনি ইস্তফা দিতে চাওয়ায় তৈরি হচ্ছে সমস্যা। তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে অলিম্পিক্সের মতো গেমসের উদ্বোধন করতে চাইছেন না আয়োজকরা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দায়িত্বে রয়েছেন ফ্রান্সের আভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন । , তিনি বলেছেন “সব প্রস্তুতি শেষ। অলিম্পিক্স শুরুর অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। গোটা বিশ্বকে স্বাগত জানাচ্ছি”। ফ্রান্স বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া বিভাগের অধ্যাপক পল দিয়েশি বলেছেন , অলিম্পিকসের মত গেমসের আয়োজকদের মূল উদ্বেগ থাকে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ ,যান চলাচল ব্যবস্থাপত্র বিষয়গুলি নিয়ে । এবার নতুন একটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যার সহজ সমাধান নেই। প্রায় সবটাই নির্ভর করছে মাকরর সিদ্ধান্তের উপর আয়োজকদের একটু ধৈর্য ধরতেই হবে”।
Discussion about this post