দীর্ঘ ১২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চতুর্থবার ইউরো জিততে স্পেন কতটা মরিয়া প্রথম ম্যাচে থেকেই তা বোঝা গিয়েছিল। অপরদিকে এবারের ইউরো ফাইনাল ইংল্যান্ডের কাছেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। তিন বছর আগে নিজেদের দেশের মাটিতে টাইব্রেকারে ইতালির কাছে হারের যন্ত্রণা নিশ্চয়ই এখনও ভুলতে পারেনি হ্যারি কেনরা। আবার রবিবার বার্লিনের লড়াই ছিল এক ঝাঁক তরুণ তুর্কির মধ্যেও। লামিনে ইয়েমল বনাম জুট বেলিংহাম ।নিকো উইলিয়ামস,দানি ওলমো বনাম ফিল ফোডেন ও বুকেয়া শাকা। নিকোদের দাপটের সামনে ইংল্যান্ডের তরুণ খেলোয়াড়রা তুলনায় অনেক নিষ্প্রভ ছিল। ব্যতিক্রম ছিল টাইল ওয়াকার ও লিউক শ।
স্পেন শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে ,বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড । ইংল্যান্ডের মাঝেমধ্যে আক্রমণ করে। প্রতিযোগিতার সেরা রদ্রি চোটের কারণে দ্বিতীয় অর্ধে মাঠে নামতে পারল না ওর পরিবর্তে স্পেনের কোচ ফুয়েন্তে নামান জুবিমেন্দিকে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুল দু মিনিটের মধ্যেই স্পেনকে এগিয়ে দেয় নিকো ।দানি কার্বাহালের পাস ধরে ডান প্রান্ত দিয়ে উঠে অসাধারণ পাশ দেয় ইয়ামাল ।বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেয় নিকো উইলিয়ামস। গোল খাওয়ার পর পরেই রণকৌশল বদলাতে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে ইংল্যান্ডের। সাকা, বেলিংহাম অসাধারণ খেলছিল । ৬২মিনিটে অধিনায়ক হ্যারি কেনকে তুলে সাউথগেট নামান ওয়েট কিংস কে ইংল্যান্ড কোচের সেরা চাল ৭০ মিনিটে খুবই কোবি মাইনুকে তুলে পামারকে নামানো।
রবিবার ফাইনালে ৭৩ মেয়েটি গোল করলো পামার। ডানদিক থেকে বল নিয়ে উঠে সাকা বল দেয় বিলিংহামকে । রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বল ছেড়ে দেয় পিছন থেকে উঠে আসা পামার কে। বা পায়ে দূরপাল্লার মাটি ঘেষা শট এক এক করে পামার। জর্ডান পিকফোর্ড একাধিক অবধারিত গোল না বাঁচালে, ইংল্যান্ডের পক্ষে ম্যাচে ফেরা কঠিন ছিল ।১-১হওয়ার পরে ইংল্যান্ড যেভাবে খেলছিল স্পেনের রক্ষণের পক্ষে চাপ সামলানো কঠিনছিল । তখন ইয়া মাল নিকোরা ম্যাচে ফিরালো আক্রমণের চাপ বাড়িয়ে। ৮৬ মিনিটে ওলমোর কাছ থেকে বল পেয়ে মিকেল ঠেলে দেয় মার্ক কুকুয়েরাকে। কুকুয়েরা সেই বলে আবার মিকেল কে দিলে মিকেল ডান পায়ে শটে স্পেনকে ২-১গোলে এগিয়ে দেয়। ৯০ মিনিটে প্রথম ডেকলাম রাইসের হেড বাঁচায় স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন । মাঠ গেহির হেড অবিশ্বাস্যভাবে গোল লাইন থেকে হেড করে ওলমো স্পেনকে বাঁচায়।আরো একবার ভেঙে দিল ইংল্যান্ডের ইউরোপের সেরা হওয়ার স্বপ্ন।
Discussion about this post