অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে সমস্ত ভারতবাসী। তবে সব থেকে বেশী উৎসুক হয়ে আছেন যে ব্যক্তি, তার নাম গৌতম গম্ভীর। কারণ একটি সফল কোচিং ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নিয়ে, কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন গম্ভীর। ভারতীয় দলের শুভাকাঙ্খীরা যেমন চেয়েছিলেন, তেমনভাবে সফলতার রাস্তায় হাঁটতে পারেননি গম্ভীর। কলকাতা নাইট রাইডার্সে শিরোপা জয়ী অভিযানের কারণেই গম্ভীর ভারতীয় দলে প্রধান কোচ হয়ে আসেন। কিন্তু, টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ হওয়ার পর থেকে, গম্ভীরের দল শ্রীলঙ্কায় একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজে হেরেছেন এবং টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ০-৩ এ চুনকাম। ফলে বিসিসিআই-এর শীর্ষস্থানীয় কর্তারা নিম্নমুখী পারফরম্যান্সের জন্য তার উপর রাশ টানতে শুরু করেন, বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেক-অর-ব্রেক টেস্ট অভিযানের মুখোমুখি। দীর্ঘতম ফরম্যাটে ভারতীয় কোচের দায়িত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সিরিজটি নিঃসন্দেহে গম্ভীরের সবচেয়ে বড় ‘টেস্ট’।জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় ভারত ভালো করতে না পারলে গম্ভীরকে টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ হিসেবে তার ভূমিকা কেড়ে নেওয়া হতে পারে। যদিও বিসিসিআই সাদা বলের কোচ হিসাবে গম্ভীরের সাথেই কাজ করতে চায়, তবে লাল বলের ক্রিকেটে একটি খারাপ ম্যাচও তার জন্য কফিনে চূড়ান্ত পেরেক হতে পারে।অন্য একটি প্রতিবেদন অনুসারে , ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়াতেও ব্যর্থ হলে, বিসিসিআই ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো, একজন বিশেষজ্ঞকে টেস্ট ক্রিকেটে কোচের ভূমিকা নিতে বলতে পারে, যেখানে গম্ভীরকে শুধুমাত্র ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে রাখা হবে।যদিও গম্ভীর এই ধরনের পরিবর্তন মেনে নেবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। যদি বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে দুই দলের লড়াই এবং ফলাফল খুব কাছাকছি হয়। তাহলে বিসিসিআই-কে হয়তো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। শুক্রবার বিসিসিআই নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগারকার এবং ভারতের ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে গম্ভীর 6 ঘন্টার দীর্ঘ বৈঠক করেন । বৈঠকের সময়, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টিম ইন্ডিয়ার 0-3 টেস্ট সিরিজ হারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছিল, সেই সাথে এই ধরনের ফলাফলের কারণগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রোহিতের ব্যক্তিগত কারণ থাকা স্বতেও, রোহিত অস্ট্রেলিয়াতে প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারেন। অন্যদিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা গেছে যে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় দলে গম্ভীর এবং থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের মধ্যে কিছু মতবিরোধ রয়েছে, বিশেষ করে দল নির্বাচনের বিষয়ে। যাইহোক, আসন্ন বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির কথা মাথায় রেখে এই ধরনের পার্থক্য দলের জন্য শুভ নয়।সব মিলিয়ে ভারতের সব ক্রিড়াপ্রেমীদের সঙ্গে গম্ভীর চাইবে ভারত সিরিজের সব ম্যাচই জিতে দেশে ফিরুক।
ভারত না আসলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন থেকে সরে আসতে পারে পাকিস্তান ।এমনকি প্রতিযোগিতার না খেলার সিদ্ধান্ত নিতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট...
Read more
Discussion about this post