ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৩ এ সিরিজ হারার পর, অস্ট্রেলিয়াতে ১৫০ রানে, প্রথম ইনিংস শেষ, স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় এবং টিম সিলেকশন নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। কিন্তু পার্থ টেস্টে ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার মধ্যে আশার আলো দেখালেন তিনি। অভিষেক টেস্টে দলের সর্বোচ্চ রান এসেছে তাঁরই ব্যাট থেকে। শুধু তাই নয়, পার্থের কঠিন পিচেও স্বাচ্ছন্দে বিভিন্ন অসি বোলারের বিরুদ্ধে শট খেলেছেন।তার খেলার ধরণ মুগ্ধ করছে, প্রাক্তন থেকে সতীর্থ সকলকেই। সেই নীতীশ রেড্ডি ম্যাচের পর সাফল্যের নেপথ্যে কোচ গৌতম গম্ভীরের পরামর্শের কথা জানালেন।শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিন ৫৯ বলে ৪১ রান করা নীতীশ ম্যাচের পর বললেন, “পার্থের কঠিন উইকেটের কথা অনেক শুনেছি। তাই একটু চিন্তা ছিলই। মাথায় ঘুরছিল যে সবাই পার্থের পিচের বাউন্সের কথা বলছে। তার পরে গৌতম স্যরের সঙ্গে আগের দিন অনুশীলনের পর আমার আলোচনার কথা মনে পড়ল।”সেই টনিক টকিং-এ কি বলেছিলেন গম্ভীর। নীতীশ বলেছেন, “উনি বলছিলেন, ‘যদি কেউ বাউন্সার দেয় তা হলে সেই বল কাঁধ দিয়ে আটকাও। মনে করো দেশের জন্য একটা গুলি হজম করছ’। ওই কথাটাই আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। উনি বিশ্বাস করেছেন যে দেশের জন্য আমি গুলি খেতে পারি। গৌতম স্যরের থেকে শোনা এই কথাটাই সবচেয়ে ভাল লেগেছে।”এক দিন আগেই নিজের অভিষেকের কথা জানতে পেরেছিলেন নীতীশ। নিজেকে শান্ত রেখেছিলেন ম্যাচের আগে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইকেল চালিয়েছেন। তার পর ঠান্ডা মাথায় নৈশভোজ করেছেন। নীতীশের কথায়, “আমার এবং হর্ষিতের অভিষেকের কথা এক দিন আগে জানানো হয়েছিল। আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। তবু রাতের খাবার খাওয়ার সময় চুপচাপ ছিলাম। খুব বেশি চাপ নিতে চাইনি। কাল বিকেলে একসঙ্গে সাইকেল চালিয়েছি। বেশ ভাল লেগেছে।”বিরাট কোহলির হাত থেকে টুপি পেয়েও খুশি নীতীশ। বলেছেন, “অসাধারণ অনুভূতি। ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন বরাবর দেখেছি। ওই মুহূর্তটা ভুলতে পারব না। ক্রিকেট খেলা শুরু করার সময় থেকেই বিরাট ভাই আমার আদর্শ। ওর থেকে টুপি পেলে খুশি তো হবই।”। এই টেস্টে যদি নতুনরা ভালো খেলে, তাহলেও যাদের জায়গা পাওয়া উচিৎ ছিল বলে মনে করেন প্রাক্তনরা, তাদের সঙ্গে তো তুলনা চলবেই।
পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী দল !যে রেকর্ডার বিশ্বের কোন দলের নেই ,সেই সেলকাদের সোনালি দিন, আজ অতীত, ব্রাজিল যেন আজ ধু৺কছে!...
Read more
Discussion about this post