দুর্দান্ত, অসাধারণ। যেমন গতি তেমনি পাস যেমন ক্ষিপ্রতা তেমনি সৃষ্টিশীলতা। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তিনবার ইউরোপিয়ান ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানি মাতিয়ে দিল প্রথম ম্যাচেই। যেমনগোলের পাস তেমনি ফিনিশিং ।রাত জেগে খেলা দেখার সার্থকতা এখানেই। এই ফুটবলই তো মানুষ দেখতে চায়। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচে জার্মানি বুঝিয়ে দিল ঘরের মাঠে কেন কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার হচ্ছে তাদের। স্কটিশদের শুধু হারানো নয় ,রীতিমতো দুরমুশ করে ছেড়ে দিলেন জার্মানরা। যদিও স্কোর বোর্ডে খেলার ফলাফল ৫-১, কিন্তু খেলার যে গতিপ্রকৃতি দেখা গেল তাতে আরো গোল হজম করতে হয়নি সেটাই স্কটল্যান্ড এর ভাগ্য। ।
শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচে, একেবারে প্রথম মিনিট থেকেই দাপট দেখানো শুরু করে জার্মানি।মুসিয়ালা ,হাভার্ৎজ,উইর্টজ দের মতো তরুণ তুর্কীদের গতি , দুর্দান্ত উইং প্লে আর ডিরেক্ট পাসিং শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিল জার্মানিকে। যে দাপটের সঙ্গে ম্যাচ শুরু হয়েছিল একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেটা বজায় রাখল জার্মানরা। মাঝখানে পাঁচ পাঁচখানা বাঁধিয়ে রাখার মত গোল । গোটা ম্যাচে জার্মানির আফসোস একটাই শেষদিকে অপ্রত্যাশিত একটা গোল হজম করতে হল। ক্লিন শিট রাখতে পারলে না নয়্যার। তাও আবার রুডিগারের আত্মঘাতি গোলের জেরে। এদিন জার্মানির প্রথম গোলটি এলো ফ্লোরিয়ান উইর্টজের পা থেকে ।
ডান দিক থেকে আসা আড়াআড়ি বলকে বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত দক্ষতায় জালে জড়ালেন তরুণ জার্মান ফরোয়ার্ড। ম্যাচের বয়স সবে ১০ মিনিট । ৯মিনিট বাদে আবার গোল। এবার আরেক তরুণ মুসিয়ালার পা থেকে। এটিও বিশ্বমানের গোল। ২০ মিনিটের মধ্যে দু গোল হজম করে এমনি ধুঁকছিল স্কটল্যান্ড। তাদের বিপদ আরও বাড়ল প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে। বক্সের মধ্যে বিশ্রী ফাউল করে লাল কার্ড দেখলেন ডিফেন্ডার প্রোটিয়াস । সঙ্গে পেনাল্টি পেয়ে গেল জার্মানি। পেনাল্টি থেকে বল জলে জড়িয়ে ব্যবধান৩-০ করে দিলেন হাভার্ৎজ। দ্বিতীয় আর্ধে ১০ জনের স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে জার্মানি আরও দুটি গোল করল।
প্রথমটি ৬৮ মিনিটে নেকলেস ফুলক্রগ করলেন দুরন্ত শটে । পঞ্চম গোলটি হল শেষ মুহূর্তে এমরি চ্যানের পা থেকে ।উল্টে খেলার গতির সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে রুডিগারের মাথা একটি আত্মঘাতী গোল হজম করতে হলো জার্মানিকে। চূড়ান্ত স্কোর লাইন ৫-১। ইউরো কাপের ইতিহাসে এটাই জার্মানির সবচেয়ে বড় জয়। তবে শুধু পরিসংখ্যানের হিসেব নয় যেভাবে ন্যাগেলসম্যানে ছেলেরা নিজেদের মেলে ধরলেন সেটা ইউর বাকি দলগুলির ঘুম কাড়তে পারে। এদিন কিন্তু জার্মানিকে চ্যাম্পিয়ন এর মতোই দেখিয়েছে।
Discussion about this post