কোথায় পাওয়ার হিটিং ? কোথায় ট্রাভিষক ঝড় ? চেন্নাইয়ের শুক্রবার কোয়ালিফায়ার-২তে তেমন জ্বলে উঠতে দেখা গেল না হায়দ্রাবাদে ব্যাটারদের। তারপরেও নিজামদের শহরের হয়ে বাজিমাত করে বাংলা স্পিনার শাহাবাজ আমেদ । ২৩ রানে ৩ উইকেট পেলেন তিনি। যা আইপিএল এর কোন হায়দ্রাবাদ স্পিনারের সেরা পারফরমেন্স। ১৮ রানের দামি ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ও তিনি। টসে জিতে সঞ্জু স্যামসাং ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় । ফর্মে থাকা হায়দ্রাবাদ ওপেনার অভিষেক শর্মা রান পাননি। তিনি মাত্র ১২ রান করেন। ২৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস ঠিক হেডের সিগনেচার স্টাইলেও নয়। তিন নম্বরে নেমে ১৫ বলে ৩৭ রানে রাহুল ত্রিপাঠি তবে শেষের দিকে হেনরিখ ক্লাসেনের জন্য হায়দ্রাবাদ স্কোর ভালো জায়গায় পৌঁছায়। ৩৪ বলে ৫০ রান করেন ক্লাসেন।
রাজস্থানের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল আবেশ খান ২৭ রানে তিন উইকেট ট্রেন বোল্ট ৪৫ রানে তিন উইকেট ও সন্দীপ শর্মা ২৫ রানে দুই উইকেট। হতাশ করেন রাজস্থানের দুই তারকা স্পিনার আশ্বিন ৪৩ ও চাহাল ৩৪ রান দিয়ে কোন উইকেট পায়নি। তার আগে কুড়ি ওভারে হায়দ্রাবাদ থেমে গেল ১৭৫ রানে ।সেই রান তারা করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল রাজস্থান। যশস্বী জয়সওয়াল ২১ বলে ৪২ রান করে ফিরে যাওয়ার পর থেকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু সঞ্জু স্যামসাং, রিয়ান পরাগ থেকে শুরু করে সকলেই ব্যর্থ। একমাত্র চেষ্টা করেছিল ধ্রুব জুয়েল। কিন্তু তার চেষ্টা কাজে লাগল না।
জুয়েল ৫৬ রানের নট আউট থাকে শেষ পর্যন্ত। প্যাট কামিংস আবারো বুঝিয়ে দিলেন তিনি কত বড় মাপের নেতা ।২০২৩ সালের ১৯শে নভেম্বর ভারতীয় দলের সমর্থকরা তার আন্দাজ পেয়েছিলেন। এবার সাক্ষী থাকলো চেন্নাই । শাহবাজ কে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলানো র সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা বোঝা যাচ্ছিল না , রাজস্থান ইনিংসে বল করতে শুরু করার পরেই পরিষ্কার হয়ে যায় কেন নেওয়া হয়েছে বাংলার অলরাউন্ডারকে। পাশাপাশি অনিয়মিত স্পিনার অভিষেক শর্মা হাতে কাজে লাগানো যায় তাও দেখিয়ে দিলেন কামিংস। ৮থেকে ১২ ওভারের মধ্যে যশস্বী , সঞ্জু,রিয়ান আর অশ্বীনের উইকেট হারায় রাজস্থান । সেখানেই লেখা হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য ।
Discussion about this post