বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পাকিস্তানেই ২-০ তে হারিয়ে ভেবেছিল ভারতকেও ভারতে এসে হারিয়ে দেবে।প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে যখন ভারতের ৬উইকেট পড়ে যায় তখন পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ সকলেই ভাবছিল বাংলাদেশ ভারতেও ইতিহাস রচনা করবে, কিন্তু ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে পার্থক্যটা ঠিক কি তা এখন বুঝতে পারছে। ভারতের ক্রিকেটাররা প্রমান করে দিল আমরা এক নম্বর টিম, সদ্য বিশ্বকাপ জিতে এসেছি, আমাদের হারানোর স্বপ্ন দেখা আর হারানো এক কথা কি। আমরা ২০২৩ এর বিশ্বকাপ ফাইনাল জিততে না পারলেও টানা দশ ম্যাচ জেতা দল। আর বাংলাদেশের মনে হল ভারতকে হারিয়ে দেব বললেই হারিয়ে দেওয়া যায়। যার ফল হল ২৮০ রানের ব্যবধানে ভারতের জয়। রোহিত শর্মাদের আধিপত্য স্বগৌরবে বজায় থাকল।
তবে হ্যাঁ খেলার প্রথম দিকে খেলার রাশ বাংলাদেশের হাতে ছিল এটা বলা যায় তবে ধীরে ধীরে ভারত তার অধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। এবং শেষে ভারত প্রমান করে দু-দলের মধ্যে এখন অনেক পার্থক্য।রোহিত শর্মা অধিনায়ক হিসাবেও অসাধারণ। অসাধারণ অশ্বিন,জাডেজা,পন্থ,গিল, বুমরা, বলতে গেলে তো অশ্বিন আর জাডেজাদের কাছেই বাংলাদেশ হেরে যায়। টেস্টে রোহিত অধিনায়ক হিসাবে অসাধারণ ফল করে চলেছে বলা যায়। শ্রীলঙ্কাকে টেস্টে ২-০ তে হারিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ তে হারিয়েছে। ওয়েস্টইন্ডিজকে ১-০ তে হারিয়েছে, সাউথআফ্রিকার সঙ্গে ড্র।ইংল্যান্ডকে ৪-১ হারিয়েছে, আর এখন বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে জয়।
আর এই জয়ের সঙ্গেই ভারত ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য নজির সৃষ্টি করছে। কারণ ২২ শে সেপ্টম্বর ২০২৪ এ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম বার ভারত টেস্ট ক্রিকেটে হারের থেকে জয়ের সংখ্যা বেশী। এই সময়ের মাঝে যে ভারতীয় দল টেস্ট খেলতো তাদের হারের সংখ্যা ছিল অনেক বেশী, হারের তুলনায় জয়ের সংখ্যা ছিল অনেক কম। কিন্তু এখন ভারতের খাতায় জয়ের সংখ্যা বেশী। ভারত ১৭৯ টি জিতেছে এবং ১৭৮ টা ম্যাচ হেরেছে। ৫৮০ টি টেস্ট ম্যাচ ভারত খেলেছে যার মধ্যে ২২২ টি ড্র, ১৭৯টি ম্যাচে জয় এবং ১৭৮টি ম্যাচে হার। ৯২ বছর বাদে ভারত এই ইতিহাস তৈরী করল। আর এই ইতিহাস তৈরী হয়েছে অশ্বিন জাডেজাদের কারণে।
Discussion about this post