২৫ বলে ৬৫ বা ৩৯ বলে ৮৫ এই রান অন্যদের কাছে প্রায় অসম্ভব মনে হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলোয়ারদের কাছে খুবই সহজ। রাসেল, ব্রেথওয়েট, নারিন, নিকোলাস পুরান বা দৈত্যাকার ক্রিস গেইল সকলের কাছেই ছয় মারাটা রোজকার ডাল ভাত খাওয়ার মতই । পাওয়ার হিটিং ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলোয়ারদের জন্মগত। পাওয়ার হিটিং এই শব্দটি বর্তমান ক্রিকেটে অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও বহুদিন আগে থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাওয়ার হিটিং পৃথিবীতে মুগ্ধ করেছে ।
ক্যারিবিয়ান খেলোয়াড়দের এমন পাওয়ার হিটিংয়ের রহস্য কি ? আইপিএল বা পৃথিবীর অন্যান্য ফ্রানচাইজি লিগ বা একদিনের ক্রিকেট সব ক্ষেত্রেই ক্যারিবিয়ানদের সমান তালে ব্যাট চলে । হয় ছয় মারো নাহলে মাঠ ছাড়ো এই নীতিতে একদিনের ক্রিকেটটা খেলে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা । এবারের আইপিএলে ও এই ছয়ের ঝলক দেখা যাচ্ছে সুনীল নারিন আন্দ্রে রাসেল, নিকোলাস পুরানদের ব্যাটে। সমর্থকদের কাছে বড় প্রশ্ন যে এই শক্তির উৎস কোথায় যার সাহায্যে ওরা মাঠের বাইরে বল ফেলে । সবারটা না জানা গেলেও আন্দ্রে রাসেলের এই শক্তির উৎস জানা গেল সম্প্রতি।
দিনের মধ্যে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা জিমে সময় কাটান রাসেল। এমনকি মাঝ রাতে তিনি জিমে যান। আমাদের মন খারাপ হলে ,ভালো না লাগলে আমরা যা যা করি, রাসেল তা করেন না। তিনি শ-খানেক পুষআপ দিয়ে শরীরকে তরতাজা করে তোলেন। প্রচন্ড রকমের ফিটনেস ফেনাটিক এই আন্দ্রে রাসেল। সমস্ত রকমের লোভনীয় খাবার ত্যাগ করেছেন তিনি অনেক দিন আগেই। প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খেয়ে থাকেন রাসেল। তাছাড়া মাঠের বাইরে বল পাঠানো তার প্রধান শক্তি হচ্ছে তার চোখ এবং হাতের সমন্বয়, সঠিক ভারসাম্য এবং কাঁধের জোর। রাসেল জানান, ক্রিইস গেইলের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। সাফল্যের মূল কারণ হলো ফিটনেস ঠিক রাখা, অটল পরিশ্রম এবং খাবারের তালিকা মানানসই রাখা। এছাড়া ক্যারিবিয়ানরা জন্মগতভাবেই একটু শক্তিশালী হয়ে থাকেন ।
Discussion about this post