আইপিএলের শুরু থেকে এর এক নম্বর স্থানটি ধরে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। অপরদিকে প্রথম ছয়টি ম্যাচের মধ্যে একটি মাত্র ম্যাচ জিতেছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। রাজস্থান যে প্লে-অফে স্থান পাবে এ ব্যাপারে সবাই নিশ্চিন্ত ছিল। কিন্তু আরসিবিকে কেউ হিসাবের মধ্যেই ধরেনি। ‘
ব্যাটেল অফ রয়্যালস’ কিন্তু কিছু টুইস্ট অবশ্যই আছে। এভাবেই আজ বুধবারের আইপিএল এলিমেন্টরা কে ব্যাখ্যা করা যায়। রাজস্থান রয়্যালস ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু মুখোমুখি আহমেদাবাদে ।যে হারবে তার বিদায়। জিতলে থাকছে কোয়ালিফাইড টু খেলে ফাইনালে পৌঁছানোর সুযোগ। দুই রয়্যাল টিমের এরকম ডুয়েলে পৌঁছে হঠাৎই ফেভারিট বিরাট কোহলির আরসিবি। টানা ৬ ম্যাচ জিতে তারা প্লে অফে। মানসিকভাবে চূড়ান্ত পজেটিভ এই মুহূর্তে। ঠিক উল্টো মেরুতে অবস্থান রাজস্থানের ।শুরুর দিকে দারুন খেলে এক বা দুই নম্বরে থাকলেও টানা চার ম্যাচ হেরেছে ছ তারা ।
শেষ ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছে বৃষ্টিতে। দুই থেকে তারা তিন নম্বরে নেমে গিয়েছে এজন্যই। ওদিকে ওপেনার জশ বাটলার ফিরে গেছেন t20 বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য ।অন্য ওপেনার যশস্বী ধারাবাহিক নন ।
সঞ্জু স্যামসাং ও রিয়ান পরাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । সিমরান হেটমেয়ারও দারুন কিছু ফর্মে নেই। ফলে রাজস্থান কিছুটা চাপে। আরসিবির হয়ে বিরাট ও ফ্যাক ডুপ্লেসি প্রতি ম্যাচেই দারুন শুরু করছেন। ইংল্যান্ডের উইল জ্যাকস ফিরে গেলেও রজত পাতিদার ভরসা দিচ্ছেন মিডিল অর্ডারে। পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি । দীনেশ কার্তিক শেষ দিকে নেমে দেখাচ্ছে শটের ফুলঝুরি। আরসিবি যে অন্য টিমের তুলনায় নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে প্লে অফের কোয়ালিফায়ার করেছে তার জন্য অনেকটাই কৃতিত্ব কার্তিকের ইনিংস গুলো। ১৯৫ স্ট্রাইক রেট তাঁর। চেন্নাইকে হারিয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসী আরসিবি পেসার যশ দয়াল । ট্রেন্ট বোল্ট ,আবেশ খান, চহালদের নিয়ে বোলিংয়ে কিছুটাএগিয়ে রাজস্থান । বিরাট কোহলি যেরকম ফর্মে রয়েছে তাতে যদি তারা ফাইনালে পৌঁছায় তবে একটি আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তো হবেই কোথায় গিয়ে থামবে তা বলা মুশকিল। আজকের এলিমেন্টারি অবশ্যই নজর থাকবে বিরাট কোহলির উপর।।
Discussion about this post