মোহনবাগানের সঙ্গে সৌরভের আত্মিক যোগাযোগ রয়েছে ।১৯৯২ সালে প্রথমবার দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তখন তিনি মোহনবাগানের ক্রিকেটার। খবরটা যখন ঘোষণা করা হয় সৌরভ তখন ইডেনে মোহনবাগানের ম্যাচ খেলছিলেন। ড্রেসিংরুমে তাকে খবরটা দিয়েছিলেন ক্লাবের এক কর্তা ।এমন দিন কি ভোলা যায়? ভোলা যায়নি বলেই এই ক্লাবে পা দিলেই একেবারে ঘরের ছেলে হয়ে যান তিনি। টুকরো টুকরো অনেক ইতিহাস ছড়িয়ে রয়েছে মোহনবাগানে। সৌরভের সেই স্মৃতি বিজড়িত ক্লাব এবার তারই হাতে তুলে দিচ্ছে সর্বোচ্চ সম্মান। সবুজ মেরুনের হয়ে টানা নয় মরশুম খেলেছেন ক্লাব ক্রিকেটে ।
মোহনবাগান ক্লাব থেকেই হয়েছিলেন জাতীয় টিমের ক্যাপ্টেন। মোহনবাগান তার ছেলেবেলার প্রেম। স্কুলে পড়াকালীন ক্লাসে প্রায়ই চলে যেতেন মোহনবাগান মাঠে। কলকাতা লীগের উত্তেজক ম্যাচ তাকে টানতো । আটের দশকের অধিকাংশ ফুটবল তার কাছে স্বপ্নের নায়ক ছিলেন। ফুটবলটা অবশ্য ভালোই খেলতেন কিন্তু কপাল যে তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল ২২ গজে।মোহনবাগানের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন চুটিয়ে। ক্লাব ক্রিকেটে সবুজ মেরুনের নেতৃত্বেও দিয়েছেন। সৌরভের সম্মতি নিয়েই তাকে রত্ন বাছা হয়েছে। ২৯ শে জুলাই সৌরভ নিজে হাজির থাকবেন মোহনবাগান দিবসে ।ফুটবল ঘরের ছেলে হয় , ক্লাব ক্রিকেটে এসব তকমা মেলে না ।কিন্তু সৌরভ বাগানেরই ঘরের ছেলে । মহারাজ কে রত্ন দিতে পেরে মোহনবাগানও বোধহয় একসঙ্গে আপ্লুত।
Discussion about this post