স্বপ্ন দেখাটা শুরু করেছিল দলটা। দলের নেতা হিসেবে রশিদ খান একেবারে সামনের সারিতে লড়াই দিয়ে চলেছেন। প্রথমবার কোনও বিশ্বকাপের মঞ্চে সেমিফাইনালে খেলার ছাড়পত্র নিয়ে সেই বাস্তবে রূপান্তরিত করে ফেলল দলটা। টি২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবার কোন বিশ্বকাপের শেষ চারে জায়গা পাকা করল আফগানিস্তান। যদিও আফগানিস্তান মাত্র ১১৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল বাংলাদেশের সামনে। বোলারদের কাজটা কঠিন ছিল। কিন্তু নবীন উল হক, রশিদ খান ,ফারুকিরা বোধহয় জেদ করেই নেমেছিলেন মাঠে, যে এখান থেকে খালি হাতে তাঁরা ফিরবেন না। ৮রানে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পৌঁছাল আফগানিস্তান।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে গুরবাজ ও ইব্রাহিমের জুটি ভালই খেলছিল এবং রান উঠছিল। কিন্তু রিশাদ হোসেনের বলে ইব্রাহিম ফিরতেই একটু চাপ নেমে আসে আফগানদের ব্যাটিং লাইন আপে। উল্টোদিকে গুরবাজ ব্যাটিং করলেও অন্য দিক দিয়ে ধারাবাহিকভাবে উইকেট পড়তে থাকে আফগানিস্তানের । আজমত উল্লাহ ১০ ,গুলবাদিন ৪ ,নবী ১ রান করে আউট হয়ে যান। গুড়বাজ ছন্দে থাকলে ও উল্টোদিকে উইকেট পড়তে থাকায় চাপ অনুভব করেন তিনি। অবশেষে ৫৫ বলে ৪৩ রান করে আউট হন কেকেআর তারকা। শেষে ১০ বলে তিনটি ছক্কার সাহায্যে ১৯ রান করে দলের স্কোর ১০০র গন্ডি পার করে দেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। বাংলাদেশের সামনে অংক ছিল ১৩ ওভারের ভেতরে ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট ও রান রেটের বিচারে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াকে টেক্কা দিয়ে তারা সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল।
কিন্তু ম্যাচে শুরু থেকেই আফগান বোলাররা এতটাই নিখুঁত বোলিং করলেন যে লিটন বাদ দিয়ে কোন ব্যাটারেরই কাছে তার জবাব ছিল না। ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয়ও এদিন রান পেলেন না ।সবচেয়ে অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান কে কিছুদিন আগেই বীরেন্দ্র শেবাগ পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এই ফরমেট থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য। কিন্তু সাকিব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খাতা খোলার আগেই প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নের ফেরেন নবীন উল হকের শিকার হয়ে ।খেলার মাঝে প্রায় তিনবার বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। একসময় ওভার ও লক্ষ্যমাত্রা একটু কম হয় । কিন্তু তাতেও বাংলাদেশের কোন লাভ হয়নি। লিটন অপরিচিত অর্ধশতরান করি কি যে থাকলেও উল্টো দিক থেকে বুকের ধারাবাহিকভাবে হারিয়ে সে সেই ম্যাচও খোওয়ায় বাংলাদেশ। নবীন উল হক চার ওভারে ২৬ রান খরচ করে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন।
Discussion about this post