চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগে ধ্বংসাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়েছিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপ লিগে কার্যত অপ্রতিরোধ্য দেখিয়েছে ক্যারিবিয়ানদের। তবে সুপার এইটে যে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে এটা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি রোভম্যান পাওয়েলরা। সুপার এইট রাউন্ডে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডের কাছে হারের মুখ দেখতে হল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কেকেআর তারকা ফিল সল্টের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি ক্যারিবিয়ানদের কার্যত খড়কুটোর মত উড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ড। সেন্ট লুসিয়ায় টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাঁরা নির্ধারিত কুড়ি ওভারে চার উইকেটের বিনিময়ে ১৮০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। কোনও একজনের চমকপ্রদ পারফরম্যান্স ভর করে নয় বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলগত প্রচেষ্টায় ব্রিটিশদের সামনে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ঝুলিয়ে দেয়।
১৩ বলে ২৩ রান করেন ওপেনার ব্রান্ডন । তিনি তিনটি চার একটি ছক্কা মারেন। ৩৪ বলে ৩৮রান করেন অপর ওপেনার জনসন চার্লস। ৩২ বলে ৩৬ রান করেন নিকোলাস পুরান। তিনিও চারটি চার একটি ছক্কা মারেন। পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে ১৭বলে ৩৬ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েল। যদিও এদিন ২ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন আন্দ্রে রাসেল। একটি চার দুটি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন শেরফান রাদারফোর্ড। একটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ৫, রান করে নট আউট থাকেন রোমারিও শেফার্ড। যদিও জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিতে বিশেষ বেগ হয়নি ইংল্যান্ডকে। তারা ১৭.৩ ওভারে মাত্র দুই উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ ১৫ বল বাকি থাকতে আট উইকেটে বিশাল জয়ে সুপার এইট রাউন্ডে অভিযান শুরু করে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং করেন ফিল সল্ট। তিনি সাতটি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে ২৬ বলে ৪৮ রান করে নট আউট থাকেন জনি বেয়ারস্ট্রো। ২২বলে ২৫ রান করেন যশ বাটলার। তিনি দুটি চার মারেন। অপরদিকে দুটি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ বলে ১৩ রান করেন মইন আলি।
Discussion about this post