জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালের পূর্বাভাস অনুযায়ী গায়নায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়াও দিতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ বেশি বৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে ম্যাচ বাতিল হয়ে যেতে পারে। আবার এই ম্যাচের কোনও রিজার্ভ ডে নেই। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে বাতিল ম্যাচ পরের দিন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়। এই ম্যাচটি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হওয়ার কথা যা ভারতীয় সময় রাত আটটা। এই ম্যাচ যদি বৃষ্টির কারণে ভেসে যায় বা অতিরিক্ত সময়ও না খেলা হয় তাহলে চাপে পড়বে ইংল্যান্ড দল। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী গোটা টুর্নামেন্ট এবং সুপার এইটের পারফরম্যান্স দেখা হবে। তার ভিত্তিতে কোন দল ফাইনালে জায়গা করে নেবে তা ঠিক করা হবে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ভারত খুব একটা চাপে পড়বে না বরঞ্চ চাপে পড়বে ইংল্যান্ড।
এডিলেড ২০২২। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের নামার আগে ভারত ইংল্যান্ড দুটো দলই নিঃসন্দেহে এই ম্যাচের কথা মাথায় রাখব।যে ম্যাচে জশ বাটলার রা দশ উইকেটে হারায় ভারতকে। ইংল্যান্ড ওই ম্যাচ থেকে আত্মবিশ্বাস খুঁজছে ।ভারত নিশ্চয়ই চাইবে সেমিফাইনালে জিতে সেই দুঃসহ স্মৃতি মুছে ফেলতে। কতটা বদলেছে পরিস্থিতি,? রোহিত বলে দিলেন, “ফরম্যাটটা খুব বেশি বদলাইনি ।এবার টুর্নামেন্টের নিউইয়র্ককে পরিস্থিতি এক রকম ছিল গায়নায় আরেকরকম । টিমের সবার জন্য রোল স্পষ্ট করে দেওয়া আছে ।নতুন করে এই পর্যায়ে খুব বেশি বলার নেই। চলতি বিশ্বকাপে ভারতের বোলিং এবং ব্যাটিং দুটোই প্রতিপক্ষের মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো। কোন একজন বিশেষ ব্যাটসম্যান এর উপরে নির্ভর করে নেই দল। ওপেনাররা ভালো খেলতে না পারলে দলকে বড়স করে পৌঁছে দিচ্ছেন মাঝের সারির ব্যাটসম্যানরা।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামছেন রোহিত শর্মা। ভারতের একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য এস শ্রীসন্ত মনে করেন, “চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো ক্ষমতা রোহিতের আছে ।ওর অভিজ্ঞতা অনেক।ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছে ।প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ভালো করে চেনে ।রোহিতের হাতে বিশ্বকাপ দেখলে আমি অবাক হব না”। এই টুর্নামেন্টে টানা ৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে সেমিফাইনাল খেলছে ভারত। । রোহিত বলেছেন, বিশ্বকাপে আর অস্ট্রেলিয়া নেই ।আগের ম্যাচটা জয় আমাদের এই কনফিডেন্টটা দিয়েছে যে আমরা ঠিক রাস্তায় আছি । এই ফরমেট এর মূল কথাই হলো কনফিডেন্স অজি ম্যাচে ২০রানে জেতাটা খুব জরুরী ছিল।
সোজা কথা গায়নার উইকেট মোটেই ২০০ প্লাস রানের ম্যাচ হবে না ।কাজেই সেন্ট লুসিয়ার মতো হাই স্কোরিং ম্যাচ হওয়া সম্ভবনা নেই । গায়নার উইকেটের সকালে বল টার্ন করে নিচু ও হয় ।তাই স্পিনই এই ম্যাচের প্রধান পার্থক্য গড়ে দেবে। ভারতের চ্যালেঞ্জ অবশ্যই পাওয়ার প্লে তে সল্ট -বাটলার জুটিকে থামানো ,।কেকেআরের ওপেনার যদি একবার ছন্দে চলে আসেন কতটা বিধ্বংসী হতে পারেন এই ফরম্যাটে বারবার দেখা গিয়েছে। সঙ্গে বাটলার ।এখানে রোহিতের হাতে থাকছে বুমরা ।শুরুতে দুই অফার ,মাঝে এক এবং ডেথে এক ।এভাবেই বুমরাকে ব্যবহার করছেন রোহিত । উইকেটের জন্য ভারত তাকাবে বুমরা কুলদীপের দিকে।
Discussion about this post