প্রথমে তান্ডব কেকেআর বোলারদের । তারপরে ১১৪ টার্গেট নিয়ে নেমে বেঙ্কেটেশ আইয়ার ৫২ নট আউট রহমাতুল্লাহ গুরবাজ ৩৯ ব্যাটের ঝড় । সব মিলিয়ে ঝোড়ো মেজাজেই ১০ বছর পরে আবার ভারত সেরা কলকাতার নাইট রাইডার্স। ২০১২, ২০১৪ সালের পর তৃতীয়বার। টার্গেট কেকেআর তুলে ফেললেন মাত্র ১০.৩ওভারে । সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ করে ফেলল লজ্জা রেকর্ডও । ১১৩ রানে অলআউট ।আইপিএল ফাইনালে ইতিহাসে যা সর্বনিম্ন ।
চলতি আইপিএলে হায়দ্রাবাদ ৩০০ করবে কিনা তা নিয়েছিল জল্পনা। সেই টিমের ফাইনালে এমন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া দেখে প্রমাণ করল ক্রিকেট কতটা অনিশ্চয়তার খেলা । ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষের স্টার্ককে নিয়ে আইপিএলে যত কটাক্ষের মিম হয়েছে তার জবাব হতে পারে অভিষেকের স্ট্যাম্প ছিটকে দেওয়া একটা ডেলিভারি । একে ‘বল অফ দা আইপিএল’ বলাও শুরু হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রথম ওভারে অভিষেককে অফ স্টাম্পের বাইরে ক্রমাগত প্রলোভন দেখানোর পরে ওই ডেলিভারি নতুন করে প্রমাণিত সেই প্রাচীন প্রবাদ ‘ফরম ইস টেম্পোরারি ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। স্টার্ককে দিয়ে ধ্বংসের শুরু । তারপর কখনো বৈভব অরোরা ১৮ রানে এক উইকেট, কখনো আন্দ্রে রাসেল ১৯ রানে তিন উইকেট বা হর্ষিত রানা ২৪ দুই উইকেট এর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ নিজামের শহরের । হেনরি ক্লাসেন ১৬ আইডেন মার্করাম ২০, শাহাবাজ আমেদ ৮ ব্যর্থ বললেও যেন বোধহয় পুরোটা বলা হয় না। সর্বোচ্চ রান কামিংসের ২৪। অতিরিক্ত ১৩ রান নাহলে হায়দ্রাবাদ ১০০ তে থমকে যেত ।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে শাহরুখ খান মাস্ক পড়ে সস্ত্রীক বসে খেলা দেখছিলেন তাই অভিব্যক্তি বোঝা যাচ্ছিল না। হয়তো মুখ টিপে হাসছিলেন। জয়ের পরে মাস্কখুলে ফেলেন। চেন্নাইয়ের ফাইনালে তারকার মেলা বলা যাবে না। তবে রাজকুমার রাও ,জান্নবী কাপুর ,চাংকি পান্ডে ,অনন্যা পান্ডেদের নিয়ে এখনেও পাল্লা ভারী কেকেআরের । দশ বছর পরে নাইটদের ট্রফি নাইটে ফিরিয়ে দেওয়া টিম গেমের নতুন দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা গম্ভীরের হাতে। সেখানে বরুণ ৯রানে ১ উইকেট নারিন ১৬রানে এক উইকেট সেরা পারফরমেন্স না করলেও অনায়াসে ফাইনালে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিতে পারেন অন্যরা। গোটা লিগে তিনবারই কেকেআরের কাছে হার হায়দ্রাবাদের । ২০১২ সালের প্রথমবার ধোনিদের হারিয়ে এই চিপকে আইপিএস জিতেছিল কেকেআর । সেবার ক্যাপ্টেন ছিলেন গম্ভীর ।তবু আইপিএলের ধোনির জনপ্রিয়তায় থাবা বসাতে পারেনি আজও পর্যন্ত । এদিন ধোনির সেকেন্ড হোমে গুরু গম্ভীরে দাদাগিরি কি জন্ম দিল এক নতুন যুগের ?
Discussion about this post