অ্যাঙ্কর- আইপ্যাকরের প্রধান পরামর্শদাতা প্রতীক জৈনকে বসানো হোক দলীয় ২ পদে। এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন কুণাল ঘোষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আদতে আইপ্যাকের কথা বলে অভিষেক ব্যানার্জিকেই খোঁচা দিলেন কুণাল। বুধের বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল কাজিয়া। হয়তো কাজিয়া শব্দটা ঠিক নয়। ঠোঁটকাটা, স্পষ্ট বক্তা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে দলীয় পদক্ষেপ। বুধবার একবার রক্তদান শিবিরে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সম্পর্কে প্রশংসা করে বড় অন্যায় করে ফেলেছিলেন তিনি। দলও তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়েছিল। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল কুণালের রাজ্য সম্পাদকের পদ। এরপর বৃহস্পতিবার পঞ্চম দফা ভোটে তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে নাম বাদ গেল কুণালের। প্রশ্ন করতেই কুণাল স্বহাস্য জানালেন এতে তার কোন আফসোস নেই। সেইসঙ্গে সরব হলেন দলের ৪০ জন স্টার ক্যাম্পেনারের বিরুদ্ধে। নাম না করে দেবকেও নিলেন একহাত।
প্রকাশ্যে দলের উদ্দেশে কুণালের কটাক্ষ এই সব স্টার ক্যাম্পেনারের সংখ্যা যত বাড়বে দলে সাধারণ কর্মীর সংখ্যা কমবে। বলাবাহুল্য নিজেকে একজন সাধারণ কর্মী হিসেবেই বরাবর তুলে ধরতে অভ্যস্ত কুণাল ঘোষ। একদিকে দল যেমন বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে অন্যদিকে কুণাল আছেন কুণালেই। দলের একনিষ্ঠ কর্মীর দলকে খোঁচা দেওয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত। শুক্রবার সকালেই এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লিখলেন তাঁর শূণ্যপদ দুটিতে আইপ্যাকের বর্তমান প্রধান পরামর্শদাতা প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হোক। কারণ তারাই এই দল ভালোভাবে চালাচ্ছে। দলের কাছে এই অনুরোধ রাখতে গিয়ে নিজেকে অপদার্থ ও দলবিরোধী বলতেও কন্ঠাবোধ করলেন না।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর তৃণমূলের রণকৌশল ঠিক করতে আইপ্যাককে রাজ্যে এনেছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। মনে করা হয় ২০২১ এর ভোটেও পর্দার আড়ালে কাজ করেছে তৎকালীন আইপ্যাকের প্রধান পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক জুটি। দলের অন্দরে কানাঘুষো ছিল দলের রণকৌশল ঠিক করাতে আইপ্যাকের সহায়তা নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না কুণাল। তবে এই নিয়ে সরাসরি কোনদিন মন্তব্য করেননি। আজ কুণালের এক্স হ্যান্ডেলে বার্তার পর অনেকেই মনে করছেন আদতে অভিষেকের উদ্দেশ্যেই খোঁচা দিলেন কুণাল। বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তৃণমূলে আইপ্যাকের ‘বর্ধিত’ প্রভাবকেও। তাঁর কথা থেকে স্পষ্ট পদ গেলেও দলের একাংশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি রেখেছেন। বার বার দল বিরোধী কথা বলছেন কুণাল। পদ খোয়া গেলেও থামানো যাচ্ছে না তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্রকে। এরপর কি কুণালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল?
তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের সংগঠন জোরদার করার পর...
Read more
Discussion about this post