পদ গেল কুণাল ঘোষের। দু:খ প্রকাশ করে দেব বললেন সৌজন্য অভিনয় দিয়ে হয় না। ভেতর থেকে আসে। ক্রাইসিস ম্যানেজার। ডিজাস্টার ম্যানেজার। সম্প্রতি এমন নামেই আরও একটি পরিচয় বলয় গড়ে উঠেছিল তাঁর। তিনি কুণাল ঘোষ। সদ্য তাঁর নাম ছেঁটে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে। তৃণমূল মুখপাত্রের পদ আগেই গিয়েছিল। এবার রাজ্য সম্পাদকের পদ গেল। দলের সিদ্ধান্ত শোনার পর যদিও সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের দাবি পদ যাওয়ার কিছু নেই। তিনি তো আগেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ গত ৪ ঠা মার্চ যখন তাপস রায়ের অভিমান মানাতে ব্যস্ত কুণাল ঠিক সেইসময় হাতে পেয়েছিলেন শো-কজ নোটিশ। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল দল। এরপরই জানা যায় তিনি দলের দুই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। পরে তৃণমূল মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা টি গৃহীত হলেও রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফাটি গৃহীত হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরের জনগর্জন সভার প্রস্তুতি বৈঠকে কুণলার পরিবর্তে পাঠান হয়েছিল সুব্রতকে। তাতেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতেও কুণালের মতামত নিয়ে চাপ বাড়ছিল দলের অন্দরে। সবমিলিয়েই কুণাল ঘোষকে শো-কজ করা হয়েছিল সেবার।
তবে দলের রোষানলে পড়ে মাঝে মধ্যে গর্জে উঠেছেন কুণাল। সারদা মামলায় তাঁকে জেলও খাটতে হয়েছিল। আর তাঁকে জেলার খাটানোর নেপথ্যে ছিল এই মমতা সরকারই। গ্রেফতার হয়ে কুণাল বলেছিলেন তবে এবার কি হল? বুধবার একটি রক্তদান শিবিরে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। মঞ্চে কুণালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ত্যাগী তথা বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তাপসের দরাজ প্রশংসা করে কুণাল দাবি করেন উত্তর কলকাতায় তাপস রায় একজন কড়া প্রতিদ্বন্দ্বী। মানুষের জন্য তিনি কাজ করেন।
সকালে বিরোধী দলের নেতার প্রশংসা বিকেলে পদ গেল কুণালের। ডেরেক ও ব্রায়েনের সই সম্বলিত টারমিনেট পত্রে স্পষ্ট বলা হল, দলের সঙ্গে কুণালের ভাবনার কোন মিল নেই। তিনি, কুণাল যা বলছেন একান্ত তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। কুণালের বক্তব্য যেন দলীয় মত হিসেবে ধরা না হয়।
তবে কুণালকে পদ থেকে সরানোর নেপথ্যে আরও একটি কারণ খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করছেন, সম্প্রতি দেবের করা মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন কুণাল। যেটা দল ভালো চোখে নেয়নি দল।
মিঠুনের উদ্দেশ্যে গদ্দার শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই দাবির সঙ্গে দেব সহমত ছিলেন না। প্রকাশ্যে এই ঘটনায় দেবের বিরোধিতা করেছিলেন কুণাল। আর এখানেই দুইয়ে দুইয়ে হয়তো চার হয়েছে। কুণালের পদ যাওয়ার পর দেব বললেন
দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে নিজেকে দাবি করেন কুণাল। এখনও এই দাবিতেই অটুট। সারদা, বার বার তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙলাভঙ্গের অভিযোগ, শো-কজ নোটিশ, পদ হারানো…তবুও তিনি দলের পাশেই। যদিও দলের অন্দরে ও বাইরে অনেকেই মনে করেন কার্যত শকুনের ভূমিকা পালন করছেন কুণাল। সঠিক সময়ে তার সঠিক চরিত্র চরিতার্থ করবেন।
দিন যত এগোচ্ছে রাজ্যে বিদ্যুৎ এর চাহিদা যেন লাফিয়ে লাফিয়ে আরও বাড়ছে। তার সঙ্গে চাপও বাড়ছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার।...
Read more
Discussion about this post