কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টও সিবিআই তদন্তে না করেনি। ফলে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এবার সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে। মাছের ভেরি বা চিংড়ির ব্যবসাই শুধু নয়, শাহজাহানের ছিল আরও কিছু মারাত্মক ব্যবসা। তদন্তে সিবিআই জানতে পেরেছে, বেআইনি অস্ত্র এবং কার্তুজের কারবারও ছিল শেখ শাহজাহানের।
কয়েকদিন আগেই সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই গোয়েন্দারা। সেখানে গোপন আস্তানায় মিলেছিল প্রচুর বিদেশী অস্ত্র এবং কার্তুজ। সিবিআই আরও একটি সন্দেহজনক ব্যাগ দেখে তলব করে এনএসজি কমান্ডোদের। তাঁরা নিয়ে আসে অত্যাধুনিক রোবট। সিবিআইয়ের দাবি, ওই ব্যাগেও মিলেছে বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র। শেখ শাহজাহানের ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত অস্ত্রের তালিকা সিবিআই ইতিমধ্যেই আদালতে জমা করেছে। তবে সিবিআই তদন্তকারীদের দাবি আরও মারাত্মক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, অন্য রাজ্য থেকে ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে অন্তত ৫০০টি বন্দুকের লাইসেন্স বানিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। এরমধ্যে ৬০টির মতো উদ্ধার করা গিয়েছে। পাশাপাশি আদালতে গোয়েন্দাদের দাবি, শাহজাহানের অন্যান্য গোপন ডেরায় এথনও কয়েকশো বিদেশী অস্ত্র ও কার্তুজ লুকোনো রয়েছে। এই অস্ত্রসম্ভারের খোঁজে সিবিআই অন্যান্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ বৈঠক করেছে। অন্যান্য রাজ্যের পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির সন্দেহ, আন্তর্জাতিক পাচারকারীদের মাধ্যমেই ভারতে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান করছিল শাহজাহান। ইতিমধ্যেই শাহজাহানের প্রায় ২৬০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
Discussion about this post