নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সময় চাইলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। অন্তত ৭ সপ্তাহ সময় চাইলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এই আবেদনে ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর কড়া মন্তব্য, “আমাদের কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমাদের বাধ্য করছেন মুখ্যসচিব। এটা কি বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কৌশল? আমাদের মনে হচ্ছে যে তিনি ইচ্ছা করে আমাদের নির্দেশ অমান্য করছেন।” এরপরই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, “এই আদালত তো তাকে অনুমতি দেওয়ার জন্য বাধ্য করেনি। তাকে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছে। নিজের দ্বায়িত্ব পালন করতে বলেছে।
এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় জরুরিভিত্তিতে শুরু করা প্রয়োজন রয়েছে। গণতন্ত্রে একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের এই ধরনের পদক্ষেপ কাম্য নয়। শেষ পর্যন্ত যদি মুখ্যসচিব অনুমতি না দেন তাহলেও আমরা বিস্মিত হব না। এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র বলে আমাদের মনে হচ্ছে। অভিযুক্তরা এতই প্রভাবশালী যে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কলম কাজ করছে না। আদালতকে পর্যন্ত হিমশিম খেতে হচ্ছে নিজের দ্বায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে।” বিচারপতি আরও বলেন, “এখানে আদৌ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়া সম্ভব কিনা সেটা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যদিও সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তদন্তকারী সংস্থাকেই নিতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী না থাকলেও তার ক্ষমতা আমরা এজলাসে বসে টের পাচ্ছি। আমরা ব্যথিত। এটা কি আমলাতান্ত্রিক অলসতা নাকি এর পিছনে অন্য কিছু আছে? আপনারা আদালত অবমাননা রুলকে আমন্ত্রণ করছেন। তারপর ক্ষমা চাইবেন অথবা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হবে।” উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার যে অনুমোদন রাজ্যের কাছে চাওয়া হয়েছিল সিবিআই এর তরফে তার জন্য আরো কিছুটা সময় চেয়ে নিলেন মুখ্যসচিব। এর আগেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চারবার সময় দেওয়া হয়েছিল। এবার আবার মুখ্য সচিবের তরফ থেকে সময় চাওয়ায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি।
Discussion about this post