আর জি কর কাণ্ড পর্দা খুলে দিয়েছে সাস্থ্য ব্যবস্থার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রায় সকল হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসার গাফিলতি। এই গাফিলতিতে প্রাণ হারিয়েছে কত অসহায় মানুষ।
ডাক্তার! সাধারণ মানুষের কাছে এই ডাক্তার কেবল মানুষ নয়, তিনি ভগবান। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতায় কত কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে চলেছে। সেখানে তাদের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ বারবার। কোন হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব, আবার কোন গ্রামীণ হাসপাতালে ডাক্তার বাবুর দেখাই মেলা ভার। একজন শিক্ষিত দায়বদ্ধ ডাক্তার এটা কখনো করতে পারে? তবে যারা করছে তারা কারা?
এর আগে পশ্চিমবঙ্গে দেখা গেছিল রেশন দুর্নীতি, সরকারি স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন জেলার সরকারি স্কুলের পরিস্থিতি কি। যারা শিক্ষা দিচ্ছে তাদের কি আদতেও যোগ্যতা রয়েছে? আর এসবের মাঝেই আর জি করের ধর্ষণ ও খুন ঘটনায় উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার আর জি করের তৃণমূল ইউনিটের প্রধান মুখ আশিস পান্ডে। আর এই পান্ডে বাবু নাকি কাটমানি নিয়ে হাউস স্টাফ করিয়ে দেওয়ার আসল পান্ডা, এমনটাই অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের, যার প্রতিবেদন বেরিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে । মেরিট অনুযায়ী হাউস স্টাফ করা হতো না। টাকার বিনিময় হাউস স্টাফ নিয়োগ করতেন এই গুণধর পান্ডে বাবু। গুণ তো রয়েছে, না হলে আরজিকর হাসপাতালে সাধারণ একজন তৃণমূলের ইউনিটের কর্মী, সে নাকি সরকারি নিয়োগ সামলাচ্ছে?
এখানেই উঠছে প্রশ্ন। আর প্রশ্ন থেকেও বড় বিষয়, সাধারণ মানুষের বাঁচা-মরার ভয়। যে সকল সাধারণ মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন। আর বিশ্বাস করে যে ডাক্তার বাবুকে দেখাচ্ছেন তারা কি আদতেও মেরিট লিস্টার নিয়ম মেনে নিযুক্ত ডাক্তার? নাকি সরকারি স্কুলের সরকারি ভুয়ো-শিক্ষকের মতন তারাও সরকারি হাসপাতালের ভুয়ো-ডাক্তার? স্বাস্থ্য দপ্তরে এত বড় ঘোটালা, প্রশাসনের ভূমিকা আবারও শূন্য? স্বাস্থ্য দপ্তর, বিষয়গুলি কি তাহলে বিবেচনা করে দেখতেন না? এর আগে দেখা গেছে কোটি কোটি টাকা বিছানার নিচে। এত বড় দুর্নীতি? কোটি কোটি টাকার লেনদেন? রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী সংস্থার কাছে কোন খবর ছিল না? দলীয়ভাবে কেউ জানতেন না? আর এখন সেই দুর্নীতির অভিযোগ স্বাস্থ্যতে এসে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে সাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন তো দূরের কথা, আরো অসহায় হয়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনগণ।
Discussion about this post