জলপাইগুড়ির টেমস বলে পরিচিত করলা নদীর জলস্তর বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই। শহরের নিচু এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে করলা নদীর জল। তিস্তা নদী সংলগ্ন ময়নাগুড়ি ব্লকে বেশ কিছু এলাকায় জল ঢুকে জলমগ্ন। সব মিলে বন্যা কবলিত জলপাইগুড়ি জেলা।
অতি ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন জলপাইগুড়ি শহর। জলপাইগুড়ি পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ কার্যত জল বন্দী। পাশাপাশি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জল শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া করল নদী। জলপাইগুড়ির টেমস বলে পরিচিত করলা নদীর জলস্তর বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই। শহরের নিচু এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে করলা নদীর জল। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল আট টা পর্যন্ত জলপাইগুড়ি পুর এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫৪.১০ মিলিমিটার। শহরের ১, ২, ৭, ১২, ১৫,১৭,১৮ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষেরা কর্যত জল বন্দী হয়ে রয়েছে।
জলপাইগুড়ি শহরের বাম পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী। সিকিম ও কালিম্পং পাহাড়ে আতি ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়েছে। দোমোহনিতে থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে উত্তর বঙ্গ বন্য নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তিস্তা ব্যারেজ থেকে শনিবার সকাল ছটায় ২৯৬৯.০২ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিস্তা নদী সংলগ্ন ময়নাগুড়ি ব্লকে বেশ কিছু এলাকায় জল ঢুকে জলমগ্ন। চিন্তায় বাসিন্দারা। তিস্তার পাশাপাশি, জলঢাকা নদীতে লাল সংকেত জারি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল আট টা পর্যন্ত মালবাজার ১৬৫.৯০ মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ার ১২০.৬০ মিলিমিটার, ময়নাগুড়ি ১৫৭.০০ মিলিমিটার, শিলিগুড়ি ৪৯.৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত হয়েছে। সব মিলে বন্য পরিস্থিতি জলপাইগুড়ি জেলায়।
Discussion about this post