একটানা ২৫ বছরের সাংসদ, বহরমপুরে ‘রবিনহুড’ তিনি। এলাকার প্রায় প্রতিটা মানুষের কাছে তিনি ‘ঘরের মানুষ’। কিন্তু তারপরেও নিজের ঘর বাঁচাতে পারলেন না বহরমপুরের অধীররঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুরে অধীর জমানা অতীত। ইউসুফের ইনস্যুইংয়ে বোল্ড অধীর চৌধুরী। হল না ডবল হ্যাটট্রিক। কী করবেন এবার?
টানা ২৫ বছর পর বহরমপুর হাতছাড়া হল কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। তাও আবার রাজনীতির ময়দানে ‘আনকোরা’ ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের কাছে। চলতি বছরের ভোটে তাঁকে দেখা গিয়েছিল বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়তে। তাঁর প্রচারও নজর কেড়েছিল। তবে কোনও ‘ম্যাজিকই’ কাজ করল না এবার। মঙ্গলবার গণনা শুরু হওয়ার পর থেকে দেখা যাচ্ছিল কখনও এগোচ্ছেন কখনও পিছিয়ে পড়ছেন। একটা সময় দেখা গিয়েছিল বিজেপি-র নির্মল কুমার সাহা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। পরে যদিও সেই হিসাব বদলায়। অধীর দ্বিতীয় হলেও প্রথম থেকে গেলেন ইউসুফ পাঠান। ষষ্ঠবারের জন্য আর সাংসদ হওয়া হল না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।
তবে এবার তিনি কি করবেন? রাজনীতি থেকে অবসর না পুনরুত্থান? একটি বেসরকারি মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে অধীর বলেন, ‘কী আর করব। হেরেছি। কী আর ভাবব। রাজনীতি ছাড়া আর কিছু শিখিনি, হঠাৎ করে করবই বা কী? সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার কিছু নেই রোজগার করার। দিল্লিতে আমি বলতাম বিপিএল এমপি। আমার তো অসুবিধা হবেই। অসুবিধা নিয়েই চলব।’
মঙ্গলবার, তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী বলেন, তিনি অধীর চৌধুরীকে সম্মান করেন। একজন বর্ষীয়ান নেতা হিসেবে অধীর চৌধুরীকে তিনি শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তিনি স্পোর্টস অ্যাকাডেমি খুলবেন। মানুষ যদি এইভাবে তাঁর পাশে থাকেন, তাহলে স্পোর্টস অ্যাকাডেমি খুলতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী ইউসুফ পাঠান।
Discussion about this post