পঞ্চম দফায় ভোট হল রাজ্যের সাতটি কেন্দ্রে। যার মধ্যে রয়েছে হাওড়া জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্র, হাওড়া এবং উলুবেড়িয়া। গত লোকসভা ভোটে এই দুই কেন্দ্রই গিয়েছিল তৃণমূলের দখলে। এবার ভোটের দিন বেশকিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে। ভোটের আগের রাত থেকেই অশান্তির ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। সিপিএম এর পার্টি অফিস ভাংচুর ও পার্টি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে উত্তর হাওড়ার সালকিয়া ত্রিপুরা রায় লেনে। অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গোলাবাড়ির থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আহত দুই বাম কর্মী সমর্থক। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ও।অন্যদিকে, বেলুড়ের লিলুয়া লোক সেবা সমিতি স্কুলের পোলিং স্টেশনে ভোটারদেরকে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও দুষ্কৃতীরা এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। অপরদিকে, প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ লিলুয়া ভারতীয় হাই স্কুলের ১৭৬ নম্বর বুথে। বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। মিনিট ১৫ পর কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।এছাড়াও, হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা ক্ষেত্র এলাকার উনসানী ষষ্ঠিতলার ২৫ নম্বর বুথে বিজেপি ক্যাম্পে হামলার অভিযোগI
কাঠগড়ায় তৃণমূল। বাঁশ, লাঠি দিয়ে ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করার, ক্যাম্প ভাঙচুর করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনীর বিরুদ্ধে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ আক্রান্তরা।হাওড়ার উনসানি ষষ্ঠীতলা এলাকায় ধুন্ধুমার। বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক মারধর। ঘটনাস্থলে আহত বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। জানা যায়, উনসানি ষষ্ঠী তলা এলাকায় বিজেপির অস্থায়ী ক্যাম্প ভাঙচুর করার খবর পেয়ে বিজেপি প্রার্থী সেখানে এলেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে যায়। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। উলুবেড়িয়ায় কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের ওপর শান্তিতেই কাটলো লোকসভা নির্বাচন।
Discussion about this post