মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে বাংলার সব বাজারে মা ক্যান্টিন খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য পুর দফতর। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চালু হয়েছিল মা ক্যান্টিন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সেই ক্যান্টিনগুলি থেকে দুপুরবেলায় মাত্র ৫ টাকায় ভাত, ডাল ও ডিমের তরকারি দেওয়া হয়। নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বাজার এলাকায় মা ক্যান্টিন চালুর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ পাওয়ার পরেই ওই বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বাজার এবং ‘হকিং’ এলাকায় ‘মা ক্যান্টিন’ চালুর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই ওই বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকারের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। ইতিমধ্যে প্রতিটি পুরসভাকে নিজ নিজ এলাকায় কতগুলি বাজার রয়েছে এবং সেখানে ‘মা ক্যান্টিন’ খোলার জায়গা রয়েছে কি না, তা দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে। পুর দফতর সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে ওই দফতরের অভ্যন্তরীণ একটি সমীক্ষায় রাজ্যের পুর এলাকায় প্রায় ১,১০০ বাজার রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু তার পরে কোনও পুরসভা এলাকায় নতুন করে বাজার তৈরি হয়েছে কি না, তা জানতে চায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
সেই তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই সংশ্লিষ্ট বাজার বা ‘হকিং’ এলাকায় ‘মা ক্যান্টিন’ খোলার বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। প্রথমে মাত্র ৩২টি ক্যান্টিন নিয়ে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প। ২০২২ সালে সংখ্যা বেড়ে হয় ২১২টি। এখন রাজ্যে মা ক্যান্টিনের সংখ্যা ৩৩০টি। মা ক্যান্টিন রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। যেখানে অল্প খরচে খাবার খেতে পারেন দরিদ্র মানুষ। মা ক্যান্টিন মূলত চালানো হয়ে থাকে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী দিয়ে। সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় দেওয়া হয় বিশেষ জোর। রাজ্যের বিভিন্ন হকার জোনগুলিতে প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন। বাজারগুলিতেও আসেন বহু মানুষ। সেক্ষেত্রে তাঁদের কম দামে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post