মঙ্গলবার কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া। গত বারের জয়ী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়েছেন তিনি। তাই আজ কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে আজ পুজো দিতে দেখা গেল তৃণমূলনেত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে হাজির ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। আজ মমতা জেলার অন্যতম প্রভাবশালী রাজবংশী নেতা ও বিজেপি দলের রাজ্যে সভার সদস্য অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রসঙ্গত, কোচবিহারে রাজবংশী – তৃনমূল কংগ্রেসে নতুন সমীকরণ দেখা গেল আজ। মঙ্গলবার মদনমোহন বাড়ির পুজো দিয়ে সোজা কোচবিহারের রাজবংশী মুখ অনন্ত মহারাজের বাড়িতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন জয়লাভের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক। যার অন্যতম মূল কান্ডারী ছিলেন অনন্ত মহারাজ বলে মনে করা হয়। যদিও বা তিনি বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তদাপী তিনি প্রকাশ্য সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপিতে থেকে কোন কাজ করতে পারছেন না তিনি।
অনন্ত মহারাজের এই বিজেপি বিমুখতার জেরেই কোচবিহার লোকসভা আসন নিজেদের ঝুলিতে রাখতে সমর্থ হয়েছিল তৃণমূল বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের । এদিন অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজবংশী হলুদ গামছা পরিয়ে হাত জোড় করে স্বাগত জানান হয়। এরপরেই এক গোপন বৈঠক শুরু হয় তাদের মধ্যে। তবে এখনো পর্যন্ত বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হলো বা কি আলোচনা হল তা পরিষ্কার করেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিজেপি শিবিরে আশঙ্কা অনন্ত মহারাজ দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে পারেন। সেক্ষেত্রে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের নয়টি বিধানসভা তৃনমূলের দখলে থাকতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের।তবে অনন্ত মহারাজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করার জন্যই এসেছিলেন।
আর ঠিক এই সময়ে কেএলও জঙ্গী নেতা জীবন সিংহের একটি ভাইরাল ভিডিও কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে, ( যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ বর্তমান)। মঙ্গলবার ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে জঙ্গী নেতা জীবন সিংহ দাবী করে বলেন, ভোট পরবর্তী কালে কোচবিহারে রাজবংশী মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃনমূল। ঘরবাড়ি নষ্ট করার পাশাপশি তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে বলেও দাবী করেছেন বর্তমানে অজ্ঞাত স্থানে থাকা ওই জঙ্গী নেতা। তৃণমুল ছাড়াও ভাইরাল ভিডিও তে কামতা পুর পিপলস পার্টি এবং গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকার ও সমালোচনা করা হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমাজ মাধ্যম জুড়ে।
Discussion about this post