প্রকাশ্যে দিবালোকে জেসিবি নামিয়ে দেদার বালি তোলা হচ্ছে মহানন্দা নদীতে। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলছে কোটি কোটি টাকার কারবার। বেআইনি কারবারের পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী চক্র, বালি মাফিয়াদের দাপটে তটস্থ স্থানীয়রা।
একেই বোধহয় বলে বিনা পুঁজির ব্যবসা। সরকারকে রয়ালিটি না দিয়ে, দিনের পর দিন প্রকাশ্যে চলছে বালি লুটের কারবার। দিনভর নদীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জেসিবি আর ট্রাক্টর। সব মিলিয়ে দৈনিক বিপুল টাকার কারবার। এই কারবার চলছে মালদার ইংরেজবাজারের যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায়। স্থানীয়ভাবে মহানন্দার এই এলাকা পরিচিত “মেলা ঘাট” নামে। প্রথমে নদীবক্ষ থেকে জেসিবি দিয়ে তোলা হচ্ছে বালি। এরপর ট্রাক্টরে বোঝাই করে নিয়ে গিয়ে জমা করা হচ্ছে খানিক দূরে প্রায় নির্জন এলাকায়। এখানে বিপুল পরিমাণ বালির মজুত ভান্ডার দেখে সহজেই বোঝা সম্ভব কি বিপুল পরিমাণ বালি লুট হচ্ছে নদী থেকে। বালি লুটের এই অবৈধ কারবারের কথা স্বীকার করেছে জেসিবি চালক থেকে ট্রাক্টর কর্মী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই অবাধ বালি চুরির কারবার দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। মাঝে একবার পুলিশ হানা দিয়ে গাড়ি আটক করায় কয়েকদিন বন্ধ ছিল। এখন ফের যে কার সেই। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, এই অবৈধ কারবারের পেছনে রয়েছে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী শিস মোহম্মদ। যিনি এলাকায় পরিচিত ‘জুলুম’ নামে।
যদিও মালদার ভূমি রাজস্ব বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবহুতী ইন্দ্র জানিয়েছেন এক্ষেত্রে প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে বালি চুরির ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল করলেই এইসব অসাধু ও বেআইনি কারবারের লাইসেন্স মিলে। এমনই কটাক্ষ বিজেপির মালদা জেলা সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের। যদিও ইংরেজবাজারের তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর পাল্টা দাবি, কেউ ব্যক্তিগতভাবে অসাধু কারবার করলে দল যুক্ত নয়। বেআইনি হলে কড়া পদক্ষেপ নিক প্রশাসন।
ওয়াকফ আইন বাতিলের মিছিলে শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার। শতাব্দী রায়ের ছবিতে লাগানো হলো লাল কালির দাগ। স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল স্যালাইন...
Read more
Discussion about this post