চোপড়ার সালিশি সভাকান্ডে গ্রেফতার আরও এক। অভিযুক্তের নাম আমিরুল ইসলাম ওরফে বুধুয়া। বাড়ি চোপড়া থানার নাককাঠি এলাকায়। পুলিশ ওই শালিসিসভার ভাইরাল ভিডিও দেখে অভিযুক্ত কে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল দুই। বুধবার সকালে চোপড়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ওইদিনই ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে জেসিবির সঙ্গে তাঁকেও মারধর করতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি সূত্রের (যদিও সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ বর্তমান)। ঘটনা সামনে আসতেই ইসলামপুর পুলিশ সুপার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিলেন জেসিবির বিরুদ্ধে। জানিয়েছিলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হবে। সেই মতো আমিরুলকে গ্রেপ্তার করা হল।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যুগলকে যখন মারধর করা হচ্ছিল সেই সময় মূল অভিযুক্ত জেসিবির পাশে দেখা গিয়েছে তাকে। প্রসঙ্গত, দিগলগাঁও গ্রামে এক যুবক যুবতীকে মারধরের ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপরে, রবিবার থেকে এলাকা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সে রাতেই গ্রেফতার করা হয় ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবিকে। তার গ্রেফতারের পরে ‘নির্যাতিত’ যুবক যুবতীর এলাকায় ভিড় জমতে শুরু করে। গত কয়েক দিন ধরেই বাড়িতে পুলিশ পিকেট। মঙ্গলবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস গ্রামে আসবেন বলে খবর ছড়াতেই এসেছিলেন আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ, যদিও রাজ্যপাল আসেননি। এসবের মধ্যেই বুধবার থেকে ক্রমে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে গ্রাম। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তাজিমুল ওরফে জেসিবি কে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর এবার গ্রেফতার করা হলো আরও একজনকে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
Discussion about this post